সপ্তাহান্তে কাজ করতে রাজি হননি রজত। তখন থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। রজতের বস আরমান চাপ সৃষ্টি করে বলেন যে, “কাজ করতে অস্বীকার করার কথা ই-মেল মারফত জানান। আর সোমবার আমার সঙ্গে অফিসে দেখা করুন।” রজত রাজি হতেই আরমান ছবি তুলে পোস্ট করে লেখেন, “What kind of a f*****g response is this?” এমনকী প্রজেক্ট ফাইলও শেয়ার করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন রজত। কিন্তু তাঁকে এড়িয়ে গিয়ে আরমান বলেন, তাঁকে ছাড়াই তিনি কাজটি করে নেবেন।
advertisement
স্টার্ট-আপের অলিখিত নিয়ম: শিফটের বাইরে গিয়েও কাজ করতে হবে কর্মীদের
এটাই একটা ঘটনা নয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টা নাগাদ একটি ভিডিও এডিট করতে দেওয়া হয়েছিল রজতকে। তিনি সেটা জমা করেন বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিট নাগাদ। এমনিতে অফিসে রজতের শিফট শেষ হওয়ার কথা সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট নাগাদ। কিন্তু আদতে তাঁর শিফট শেষ হয় রাত ৮টা ৩০ মিনিট নাগাদ। তবে সপ্তাহান্তে কাজ না করার কথা জানাতেই সিইও বিষয়টিকে ভাল ভাবে নেননি। সোমবার তাই মিটিং ডেকে রজতকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।
বস-কর্মীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন রজত। রাত ৮টা ২৯ মিনিট নাগাদ টিমের এক সদস্য একটি মেসেজ করে জানান, “যে রিলটি আগামিকাল পোস্ট করার কথা, সেটির ফিডব্যাক এসেছে। তাই সেটা এডিট করতেই হবে।” এর জবাবে রজত বলেন যে, “হাই আরমান। আমি এটা করতে পারব না। কারণ সপ্তাহান্তে আমি কাজ করি না। আমি প্রজেক্ট ফাইল শেয়ার করে দিতে পারি। এটা চলবে কি না, জানিয়ে দিন।”
অন্য এক কর্মী আবার ক্লিপের অর্ডার ব্যাখ্যা করেছেন। রজতের মেসেজের জবাবে আরমান বলেন, “আপনি কি সিরিয়াস? এটাই লিখে আমায় ইমেল করুন রজত। আর সোমবার এসে প্রথমেই আমার সঙ্গে দেখা করবেন।”
জবাবে রজত লেখেন যে, “আচ্ছা, আমি সেটাই করব।” কিন্তু বিষয়টি সেখানে না মিটিয়ে আরমান লেখেন, “What kind of a f*****g response is this?” রজত শান্ত ভাবেই জানান যে, জয়েন করার সময় থেকেই নিজের কাজের সীমা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। আর প্রজেক্ট ফাইল শেয়ার করে দিতে চান, যাতে অন্য কেউ কাজটি করে দিতে পারেন। আরমানের জবাব, “বাহ দারুণ। এটা ভাল নয়। আপনাকে ছাড়া আমরা এটা করতে পারব না।”
ভাইরাল এই চ্যাট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরাও। এক লিঙ্কডইন ব্যবহারকারী জানান যে, “এভাবে নিজেদের কর্মচারী কিংবা কারও সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত নয়। খুবই অসম্মানজনক।” অন্য একজন লিখেছেন, “এ তো সেরা টক্সিক এজেন্সি কালচার।” তৃতীয় এক নেটিজেন আবার বলেছেন যে, “ওয়ার্ক-লাইভ ব্যালেন্সের আরও একটি দারুণ নমুনা।”