অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৩টি কার্ড সোয়াইপ মেশিন, ৬টি মোবাইল ফোন, ৩৪টি ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড, ২০টি চেক, ২৪টি চেকবুক, ৬টি পাসবুক ছাড়াও ৭৭টি সিম কার্ড, ২টি ডায়েরি, ১২টি এটিএম কার্ড, ১টি ল্যাপটপ, ২টি ওয়াই-ফাই রাউটার এবং নগদ ৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে ভোপালের কোলার পুলিশ।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, দু’দিন আগে ছেঁড়া-ফাটা জামা-প্যান্ট পরে ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্ট ক্লোজড করতে গিয়েছিলেন রাহুল। তখনই বিষয়টা নজরে আসে। ব্যাঙ্ক কর্মীরা দেখেন, গত তিন মাসে তাঁর দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। তাঁদের সন্দেহ হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ রাহুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
জিজ্ঞাসাবাদে পুরো ঘটনার কথা স্বীকার করেন রাহুল। লিভ ইন দম্পতির সঙ্গে মিলে অ্যাকাউন্ট বিক্রির কথা পুলিশকে জানান তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই দম্পতিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরা ২০০টির বেশি অ্যাকাউন্ট বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে, অতিরিক্ত ডিএসপি মালকিত সিং বলেন, “১৯ ডিসেম্বর ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্রের মন্দাকিনী কোলার রোডের শাখা থেকে কোলার পুলিশের কাছে একটি ইমেইল আসে। জানানো হয়, রাহুল শ্রীবাস্তব নামের এক ব্যক্তি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ক্লোজড করতে এসেছেন। তাঁর দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ২-৩ মাসের মধ্যে ৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ব্যাঙ্কে পৌঁছয়। অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট থেকে জানা যায়, ৩ অক্টোবর ২০২৪ থেকে ৫ ডিসেম্বর ২০২৪-এর মধ্যে তিন কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এরপরই রাহুল শ্রীবাস্তবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো ঘটনা সামনে আসে।”
রাহুল পুলিশকে জানায়, ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি ঘনশ্যাম সিংরোলে নামের এক ব্যক্তিকে দুটি অ্যাকাউন্ট বিক্রি করেছিলেন। একটা তাঁর নিজের অ্যাকাউন্ট ছিল, আরেকটা তাঁর স্ত্রীর। ঘনশ্যামই তাঁকে বলেছিলেন, অ্যাকাউন্ট বিক্রি করে মোটা টাকা কামানো যায়। লিভ ইন পার্টনার নিকিতা প্রজাপতি ও নীতেশ প্রজাপতির সঙ্গে তাঁর আলাপও করিয়ে দেন ঘনশ্যাম। এরপরই রাহুল, তাঁর স্ত্রী, নিকিতা এবং নীতেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।