চুড়ির তৈরি মোমবাতিদান: এটা তৈরি করতে দরকার কিছু পুরনো রঙিন চুড়ি আর আঠা। ব্যস। চুড়িগুলোকে আঠা দিয়ে জুড়ে দিতে হবে শুধু। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে বাতিদান। দেখতে দারুণ লাগে। ঘর সাজানোর শোপিস হিসেবেও এটা দুর্দান্ত। বোনেদেরও পছন্দ না হয়ে যাবে না!
ঘরে তৈরি রঙ্গোলি পাউডার: দীপাবলি হোক কিংবা পুজোপার্বন, রঙ্গোলি বা রঙিন আলপনা লাগেই। আর সেটা যদি পরিবেশবান্ধব হয় তাহলে তো কথাই নেই। ঘরে এমন পাউডার তৈরি করে উপহার দেওয়া যায়। সাধারণত চালের গুঁড়ো দিয়েই রঙ্গোলি পাউডার তৈরি হয়। ইদানীং চক, পাথরের গুঁড়ো কিংবা বালিও ব্যবহৃত হচ্ছে। বাড়িতে চালের গুঁড়ো, মিছরি গুঁড়ো এবং নুন দিয়ে এমন পাউডার সহজেই তৈরি করা যায়। বোনেরা মুগ্ধ হবেনই এমন উপহার পেয়ে।
advertisement
গ্লিসারিন সাবান, রত্ন পাথর: সাবান কাজে লাগে বছরভর। আর তা যদি হয় দেখনদার, তাহলে তো আর কথাই নেই! তাই ভাই হোক বা বোন, যে কারও জন্য তৈরি করা যায় রত্নের আকারের গ্লিসারিন সাবান। এ জন্য গ্লিসারিন সাবান নিয়ে সেগুলোকে রত্নের আকারে কেটে নিতে হবে শুধু। বাথরুমের শোভা বাড়বে। উপহার হিসেবেও চমৎকার।
পেপার কাপ লাইট: এও এক ইউনিসেক্স উপহার। কথা হল, ভাইফোঁটা আসবে দীপাবলির পরে। তাতে কী! বাহারি আলোর সাজ সারা বছর বাড়িকে আকর্ষণীয় করে তোলে এক্ষেত্রে পেপার কাপ লাইট সেরা। পেপার কাপ কিনে সেগুলো রঙ-বেরঙের কাগজ দিয়ে মুড়ে দিতে হবে। কাপের পিছনে ছোট্ট ফুটো করে সেখান দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হবে বাল্ব। মিনিয়েচার লাইটের মতো দেখতে লাগবে।
লুকানো বোতল: ভাই বা বোনের প্রিয় পানীয় কোনটা? সেটা কিনে রঙিন কাপড় দিয়ে মুড়ে দিতে হবে। গলার কাছে বেঁধে দিতে হবে আকর্ষণীয় ফিতে। ব্যস, সুন্দর উপহার প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: Actress Real Name: Reena Roy থেকে Kiara Advani, মধুবালা থেকে টাব্বু, আসল নাম জানলে চমকে যাবেন
স্মৃতি সততই সুখের: ইদানীং সবই ডিজিটাল। ক্যামেরার ফিল্ম কোনও কাজেই লাগে না। পড়ে পড়ে নষ্ট হয়। সেগুলো দিয়েই তৈরি করা যায় স্মৃতিমেদুর উপহার। টেবিল ল্যাম্পের ঢাকনায় আঠা দিয়ে সেঁটে দিতে হবে পুরনো ফিল্ম। আলো জ্বললে সেই সব ফিল্মের ছায়া পড়বে। মন ভরে যাবে ভাই, বোন দুজনেরই। উপহার হিসেবে চমৎকার, তাই না!