আরও পড়ুন- লোপেসিয়া অ্যারেটায় ভুগছেন উইল স্মিথের স্ত্রী জাডা পিঙ্কেট! কী হয় এই রোগে?
অটোয় চড়ে আর কৌতূহল সামলাতে না পেরে নিকিতা জিজ্ঞেস করেই ফেলেন, “এত ভালো ইংরেজি কীভাবে শিখলেন আপনি?” উত্তরে বৃদ্ধ অটোচালক জানান, মুম্বইয়ের একটি কলেজে ইংরেজির প্রভাষক বা লেকচারার ছিলেন তিনি। “তাহলে এবার নিশ্চয়ই জিজ্ঞেস করবেন কেন অটো চালাচ্ছি আমি?” বলেন ওই বৃদ্ধ। অটোচালক নিজের জীবনের কথা (Viral) খুলে বলেন নিকিতাকে। তাঁর নাম পাতাবি রমন এবং তিনি অবসর নেওয়ার পরে ১৪ বছর ধরে অটো চালাচ্ছেন। কর্ণাটকে কোনও চাকরি না পেয়েই মুম্বইয়ে পাড়ি দিতে হয় তাঁকে।
advertisement
“তাঁকে একটাই প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘তোমার জাত কী?’ এবং যখন তিনি বলেন তাঁর নাম পাতাবি রমন, তারা জানান, ‘আমরা আপনাকে পরে জানাব’।” পোস্টে লিখেছেন নিকিতা। কর্ণাটকের কলেজগুলি থেকে ‘জাতের প্রশ্ন’ পেয়ে বিরক্ত হয়ে মুম্বইতে চলে যান পাতাবি রমন। সেখানে একটি নামী কলেজে চাকরি পান।
আরও পড়ুন- আসছে খুশির ঈদ, ভারতে কোথায় কখন শুরু হবে রোজা, সেহরি আর ইফতার দেখে নিন এক ঝলকে
“শিক্ষকরা ভাল বেতন পান না। সর্বোচ্চ ১০-১৫,০০০ এবং যেহেতু এটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছিল, তাই আমার কোনও পেনশন নেই। রিকশা চালিয়ে আমি প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০০-১৫০০ টাকা পাই। আমার এবং আমার বান্ধবীর জন্য যথেষ্ট,” হাসতে হাসতে নিকিতাকে বলেন পাতাবি। বান্ধবী কেন? বউ নয়? উত্তরে পাতাবি বলেন, “বউ বললে, স্বামীরা মনে করে সে একজন দাসী যে তোমার সেবা করবে। কিন্তু সে কোনও ভাবেই আমার থেকে নিকৃষ্ট নয়। বরং কখনও কখনও আমার চেয়েও শ্রেষ্ঠ।”
অটোচালক পাতাবি আরও (Viral) জানিয়েছেন, তাঁদের একটি ছেলেও রয়েছে। সে তাঁদের ঘরভাড়া দিতে সাহায্য করে। “কিন্তু এর বাইরে, আমরা আমাদের সন্তানের উপর নির্ভরশীল নই। ওরা ওদের মতো জীবন যাপন করে এবং আমরা নিজেদের মতো সুখে জীবনযাপন করি,” বলেন তিনি।