আরও পড়ুন– দেখলেই বুক কেঁপে উঠত অজানা মায়ায় ! ১২ বছরের বড় পুরুষকে বিয়ের গল্প হার মানাবে সিনেমাকেও
বারমের পুলিশও সঙ্গত কারণেই এলাকার সাইবার অপরাধের দিকে কড়া নজর রাখছে। এই রকম এক পরিস্থিতির মধ্যেই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে বারমের থানা পুলিশ। তিনজনই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করত।
advertisement
ডিএসটি এবং বালোত্রা থানার যৌথ পদক্ষেপের অংশ হিসাবে এই তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাইবার জালিয়াতিতে ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল নেটওয়ার্কের রাউটার, বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ড, পাস বই ও চেক বই উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে যে সাইবার প্রতারণার জন্য এই তিন যুবক একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। এর ভিতরে বসে তাঁরা একটি সম্পূর্ণ সেট আপ তৈরি করেছিলেন যেখান থেকে তাঁরা তাঁদের শিকারকে ফাঁদে ফেলতেন।
ঘটনা সম্পর্কে তথ্য দিতে গিয়ে বালোত্রার এসপি কুন্দন কানওয়ারিয়া বলেন, তিন যুবক সারা দিন একটি ভাড়া ঘরে দরজা বন্ধ করে বসে থাকত এই খবর তাঁরা পেয়েছিলেন। খবর পেয়েই সাইবার জালিয়াতির ঘটনা বলে সন্দেহ হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তিনজনই মানুষকে নানা ধরনের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলত। এর পর পুলিশ বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে ওই ঘরে অভিযান চালায়। এই সময় তিন অভিযুক্তই ওই ঘরে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে একটি রেজিস্টার উদ্ধার করেছে, যাতে তাঁরা প্রতারণার সমস্ত বিবরণ লিখতেন। সেই রেজিস্টার খোলার পর জানা যায় যে, কোটি টাকার প্রতারণার খেলা এত দিন ধরে চলেছে দরজার পিছনে।
অভিযুক্ত বনওয়ারলাল, লক্ষ্মণ কুমার ও আইদানরাম স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভিকটিমদের খোঁজ করতেন। অনলাইন গেম খেলার অজুহাতে তাঁরা ফাঁদে ফেলতেন শিকারকেষ। আগে তাঁরা সেই ব্যক্তিকে কম পরিমাণ টাকা জিততে দিতেন। এরপর মোটা টাকা জিতে গেলেই শুরু হত প্রতারণা। গ্রেফতার হওয়া এই তিন যুবকেরই বয়স তেইশ থেকে চব্বিশ বছরের মধ্যে। পুলিশ এখন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।