সেই সঙ্গে তাঁদের আশার আলোও দেখাচ্ছেন। আসলে এর জন্য পুত্রজীবা এবং ধনমন্ত্রী গাছের বীজ আর ভেষজ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জোর দিয়ে বলেছেন রামলোটন কুশওয়াহা। শুধু দেশেই নয়, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের বুকেও ছড়িয়ে দিয়েছেন এই দুই গাছের উপযোগিতার কথা। আর তাই নিজের ঔষধি জ্ঞানের কারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মান পেয়েছেন রামলোটন কুশওয়াহা।
advertisement
পুত্রজীবা গাছ: সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে এটি একটি অলৌকিক গাছ
পুত্রজীবা গাছকে সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে একটি পবিত্র বৃক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রামলোটন কুশওয়াহা দাবি করেন যে, এই গাছের বীজ এবং ছাল সঠিক ভাবে সেবন করা হলে মহিলাদের গর্ভধারণ বা কনসিভ করার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। তিনি Local 18-এর কাছে বলেন যে, এখনও পর্যন্ত ২০টিরও বেশি পরিবার এই পুত্রজীবা গাছের উপকারিতা লাভ করেছেন এবং তাঁরা সকলেই সন্তানের আশীর্বাদ পেয়েছেন।
এই ভেষজ সেবনের উপায়ও বাতলে দিয়েছেন তিনি। রামলোটন কুশওয়াহার মতে, মহিলারা যদি এই গাছের ছালকে ভাল করে পিষে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মাসে তিন বার এক চামচ করে সেবন করেন, তাহলে তাঁদের গর্ভধারণ বা কনসিভ করার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
ধনমন্ত্রী গাছ: পুরুষদের জন্য আশীর্বাদ
ধনমন্ত্রী গাছের ছাল পুরুষদের উর্বরতা বৃদ্ধিতে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। রামলোটনের মতে, এই গাছের ছাল দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করা হলে বীর্যের গুণমান উন্নত হয়। প্রাচীনকালে এটি সোনভাষা নামে পরিচিত ছিল। এছাড়া কালাকোচ নামে একটি গাছেরও একই উপকারিতা রয়েছে, যা রাজা-সম্রাটরাও ব্যবহার করতেন। এই প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি শুধুমাত্র সন্তানধারণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি স্বাস্থ্যবর্ধক ওষুধ হিসাবেও ব্যবহার করা হয়।
বিশ্বাস ও বিজ্ঞানের সঙ্গম:
পুত্রজীবা গাছ এবং ধনমন্ত্রী গাছের জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। রামলোটন কুশওয়াহার মতে, এই প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং বর্তমানে আধুনিক সময়ে তা নতুন স্বীকৃতি লাভ করছে। তাঁর এই প্রচেষ্টা শুধুমাত্র স্থানীয় মানুষদেরই উপকার করেনি, বরং এটি সাতনাকে ঔষধি গাছের ক্ষেত্রে একটি নতুন পরিচিতিও দিয়েছে।