সেই ব্যক্তির জিহ্বা হঠাৎ সবুজ হতে শুরু করে। তার উপর জিহ্বার উপর কালো লোম গজাযতে শুরু করে। আপনি জেনে অবাক হবেন, যে কারণে তাঁর সঙ্গে এমনটা হয়েছে, সেই একই ভুল আমরা প্রায়শই করে থাকি।
আরও পড়ুন- নার্সের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকাকালীন মৃত্যু! রোগীর মর্মান্তিক পরিণতি
আমেরিকান একাডেমি অফ ওরাল মেডিসিনে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল ৬৪ বছর বয়সীর জীবনে। সেই ব্যক্তি সিগারেট খাওয়ার পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করেছিলেন।
advertisement
পরে তিনি ডাক্তারের কাছে ছুটে যান। ডাক্তাররা চিকিৎসা করলে তাঁর সমস্যা মিটে যায়। চিকিৎসকরা জানান, তাঁর জিহ্বার ত্বকের কোষে অস্বাভাবিক আবরণ তৈরি হয়েছিল।
ওষুধের প্রতিক্রিয়ার কারণে এমনটা হয়েছিল। এমন ঘটনা ঘটলে জিহ্বার আস্তরণ চুলের মতো দেখাবে। আঁচড়ালে প্রায় এক ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা চুল বেরিয়ে আসবে।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিকিৎসকদের দাবি, অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিক্রিয়ার কারণে জিহ্বা বাদামী, সাদা, সবুজ বা গোলাপী রঙের হতে পারে।
বেশিরভাগ সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবের কারণে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এটি সাধারণত ৪০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। যারা ধূমপান করেন তাদের জিহ্বায় ব্যাকটেরিয়া এবং প্লেক তৈরির প্রবণতা থাকে।
আরও পড়ুন- পৃথিবীর জনসংখ্যা এখন কত? রোজ কত শিশুর জন্ম হয়? শুনলে হা হয়ে যাবেন
ক্রমাগত অ্যান্টিবায়োটিক ক্লিন্ডামাইসিন গ্রহণের কারণে তাঁর এই সমস্যা হয়েছিল। মাড়ির সংক্রমণের কারণে তিনি অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করছিলেন৷ অ্যান্টিবায়োটিক মুখের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি কারো জিহ্বায় এমনটা হয়, তাহলে তিনি শুরুতে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া অনুভব করতে পারেন। এর বাইরে অন্য কোনো ধরনের সমস্যা নেই।
ওহাইওতে বসবাসকারী এই ব্যক্তিকে প্রতিদিন চারবার টুথব্রাশ দিয়ে ধীরে ধীরে পরিষ্কার করতে বলা হয়েছিল। সিগারেট না খাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ছয় মাস পর তাঁর মুখের চুলের আস্তরণ পুরোপুরি উঠে গিয়েছিল।