১৫ জুন দহেন্দ্রি গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (PHC) মেয়েটির জন্ম হয়। জন্মের কয়েকদিন পরই মেয়েটির স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। পেটে ব্যথা এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য PHC-তে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সময়, মেয়েটির মায়ের পিসি পরিবারকে একটি ঘরোয়া প্রতিকারের পরামর্শ দেন। তিনি দাবি করেন যে মেয়েটির পেট ফাঁপার সমস্যা রয়েছে এবং এর জন্য ‘দাম্মা’ নামক একটি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা উচিত।
advertisement
‘দাম্মা’ হল একটি কুসংস্কারভিত্তিক প্রথা, যা গ্রামাঞ্চলে প্রচলিত। এই প্রক্রিয়ায় রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার নামে একজন ব্যক্তিকে গরম লোহার রড দিয়ে দাগ দেওয়া হয়। মানুষ বিশ্বাস করে যে এটি করলে রোগ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এই কুসংস্কারের কারণে, মেয়েটির মায়ের খালা একটি গরম লোহার রড নিয়ে নিষ্পাপ শিশুটির পেটে কয়েকবার দাগ দেন। এই নিষ্ঠুর কাজের পর, মেয়েটির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। তার চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শুক্রবার তাকে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের উপস্থিত চিকিৎসকরা মেয়েটির অবস্থা দেখে হতবাক হয়ে যান। তার পেটে গরম লোহার কারণে নতুন করে পোড়া দাগ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিকভাবে মেয়েটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তাকে অচলপুর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। আপাতত শিশুটি সুস্থ আছে। অভিযুক্ত মহিলাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১১৮ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেছে। এর পাশাপাশি, মহারাষ্ট্র মানব বলিদান এবং অন্যান্য অমানবিক, অনৈতিক এবং কালো জাদু প্রতিরোধ ও নির্মূল আইন, ২০১৩ এর অধীনেও একাধিক ধারা যুক্ত করা হয়েছে। শিশুটি এখন বিপদমুক্ত এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল।
(Disclaimer: নিউজ ১৮ বাংলা কোনও ধরনের কুসংস্কার বা অন্ধবিশ্বাসকে মান্যতা দেয় না)