গত বৃহস্পতিবার প্রণয় মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইটটিতে জানিয়েছেন, সম্প্রতি কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য ব্যবহার করেছিলেন একটি ডেলিভারি অ্যাপ।
প্রাথমিক ভাবে অ্যাপ থেকে ওই নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি সামগ্রী কিনতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে সেই অর্ডার বার বার দিতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন তিনি। প্রণয়ের দাবি, প্রথম দু’বার তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়ার পরও ওই ডেলিভারি অ্যাপ দাবি করে তাঁর অর্ডার নেওয়া যায়নি। ফলে তিনি আবার অর্ডার করেন। এই সময় তিনি ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পদ্ধতি ব্যবহার করেন। কিন্তু ফের ব্যর্থ হন। বাধ্য হয়ে তিনি অন্য একটি ডেলিভারি অ্যাপে অর্ডার করে দেন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি।
advertisement
আরও পড়ুন: চাঁদের চেয়ে ৪০০ গুণ বড়, তবুও কেন একই রকম দেখতে লাগে সূর্যকে! আসল সত্য জানলে চোখ কপালে উঠবে
এরপর শুরু হয় আসল ঘটনা। একের এক ফোন আসতে শুরু করে। সব ফোনই ডেলিভারি পার্টনারদের তরফে।
প্রণয় জানান, অ্যাপে অর্ডার স্টেটাস ক্যানসেল দেখালেও, ওই সব সামগ্রী তাঁর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে দিয়েছিল। ডেলিভারি এক্সিকিউটিভরা একে একে এসে উপস্থিত হন। কেউ প্রিপেড কেউ ক্যাশ অন ডেলিভারি-র নিয়ম মেনে সামগ্রী দিয়ে যেতে থাকেন।
প্রণয় লিখেছেন, শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, উনি যা অর্ডার করেছিলেন তার ছ’গুণ সামগ্রী এসেছে বাড়িতে। প্রণয় জানিয়েছেন, এক সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে আসে ২০ লিটার দুধ, ৬ কেজি দোসা বাটার, আনারসের ৬টি প্যাকেট।
প্রণয়কে অনেকেই বোকার মতো কাজ করেছেন বলে জানাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই সময় তিনি ট্যুইটারে এক ব্যক্তিকে বলেন, ‘এগুলো দিয়ে আমি কী করব/’ ঈশান গোস্বামী নামে এক ব্যক্তি লেখেন, গৃহহীনদের খাওয়ান। সেকথায় সম্মত হয়েছেন প্রণয়। সম্প্রতি, Swiggy-র মুম্বইয়ের এক গ্রাহক বছরে ৪২.৩ লক্ষ টাকা খরচ করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন।