কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটালেন ইংরাজি সাহিত্যের ওই অধ্যাপক ? রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল আর পি শর্মা জানিয়েছেন, পুঞ্জিলাল মেহর নামের ওই অধ্যাপক পশ্চিম ওড়িশার বোলানগির জেলার জ্যোতি বিকাশ কলেজে কর্মরত ৷ ওই একই কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপিকা ছিলেন সৌম্যের মা সংযুক্তা শাহ ৷ আগে ওই কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন পুঞ্জিলাল ৷ গত বছরের মে মাসে অধ্যক্ষ পদে বসেন সংযুক্তদেবী ৷ সমস্যার সূত্রপতা সেই সময় থেকেই ৷ এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি মেহর ৷ বারবার সংযুক্তাদেবীকে অপদস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি ৷ তাঁর নামে কলেজের দেওয়ালে অপমানজনক স্লোগান লেখানোর সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল পুঞ্জিলালের ৷ কিন্তু তাতেও রাগ কমেনি তাঁর ৷ শেষ পর্যন্ত বিস্ফোরণে গোটা পরিবারকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি ৷ সেই মতো ক্যুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যেমে ওই বোমা সৌম্যর বাড়িতে পৌঁছে দেন পুঞ্জিলাল ৷
advertisement
আরও পড়ুন: সাগর ঘোষ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত দুই, সাজা ঘোষণা কাল
১৮ ফেব্রুয়ারি ছিল সৌম্য ও রেমার বিয়ে ৷ এর পাঁচদিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারি বিয়ের উপহার হিসাবে একটি পার্সেল আসে সৌম্যর বাড়িতে ৷ কিন্তু সেই পার্সেল খুলতেই নিমেষে তছনছ হয়ে যায় সবকিছু ৷ ঘটনাস্থলেই মারা যান পেশায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সৌম্য শেখর ৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান জেমামানিদেবী ৷ গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দীর্ঘ কয়েকমাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চলে রেমার ৷ অবশেষে গত ১২ এপ্রিল বাড়ি ফিরেছেন রেমা ৷ এমন ঘটনার জন্য দায়ী অপরাধীর মৃত্য়ুদণ্ড চেয়েছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আসারামের
মার্চ মাসে রাজ্য পুলিশের হাত থেকে এই মামলা যায় সিআইডি-র কাছে ৷ মেহর ছাড়াও ক্যুরিয়ার সার্ভিসের ৬জনকে আটক করেছে সিআইডি ৷ যদিও পুঞ্জিলালের স্ত্রী সৌদামিনী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী এমন অপরাধ করতে পারেন না ৷ প্রকৃত অপরাধীকে ধরতে না পেরে তাঁর স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে ৷