পুরীর মন্দিরের কর্তৃপক্ষের আচরণে মর্মাহত হয়ে ঠিক পরের দিনই (১৯ মার্চ) রাষ্ট্রপতিভবনের পক্ষ থেকে পুরীর জেলা প্রশাসনকে ঘটনাটির ব্যখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে ৷ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রশাসনের উদাসহীনতায় অবাক হয়েছেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি ৷ সেই চিঠির ভিত্তিতেই পুরীর জেলা প্রশাসন তদন্তে নেমেছে ৷
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেজেডির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ, আইএএস অফিসার প্রদীপ কুমার মহাপাত্র ঘটনার সত্যতা মেনে নিয়ে জানিয়েছেন ৷ মন্দিরের প্রশাসনের কাছে জবাব তলব করা হয়েছে কিন্তু যা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত ৷ ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়ে সেই দিকেই খেয়াল রাখবেন ৷
advertisement
তবে শুধুই এই চূড়ান্ত অব্যবস্থার শিকার শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতিই বা তাঁর স্ত্রীই বা এই ঘটনা ইতিহাসে প্রথমবার নয় ৷ মহত্মা গান্ধি থেকে ইন্দিরা গান্ধি, এখানেই থেমে নেই তালিকা অন্য ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ, দলিতেরাও মুখোমুখি হয়েছিলেন এরকমই চূড়ান্ত অব্যবস্থা হেনস্থার শিকার ৷
এমন কী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়েই স্ত্রী সনিয়া গান্ধি নেপালের পশুপতিনাথ মন্দিরে প্রবেশে বাধা পেয়েছিলেন ৷ ১৯৯৯ সালে সনিয়া গান্ধি কংগ্রেস সভানেত্রী হওয়ার পড়ে তিরুপতি বালাজির মন্দিরে প্রবেশের আগে অতিথি নথিভূক্তকরণ খাতায় লেখা ছিল হিন্দু হলে তবেই তিনি দেবদর্শন করতে পারবেন ৷
সম্প্রতি গুজরাত নির্বাচনের আগে সোমনাথ মন্দিরে রাহুল গান্ধির প্রবেশের আগে নথিভূক্তকরণ খাতায় অহিন্দু দর্শনার্থীর ঘরে টিক দিয়েছিলেন ৷ এ নিয়েও হয়েছিল অনেক জলঘোলা ৷
আরও পড়ুন : পুরীর জগন্নাথ দর্শনে বাধা রাষ্ট্রপতির স্ত্রীকে, সামনে এল চাঞ্চল্য়কর তথ্য