জানা গিয়েছে, মুসোহর দম্পতির বৈবাহিক সম্পর্ক প্রায় ১৬ বছরের পুরনো। সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত। গত কয়েক বছর আগে স্ত্রী পঞ্চমী মুসোহরের দূ:সম্পর্কের এক দাদা মনোজ রাম দিল্লি থেকে এসে একই বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। এরপর থেকে সংসারে অশান্তি আরও বাড়ে। গতকাল প্রথমে মৃতের সঙ্গে তার ছেলে বাপি মুসোহরের বচসা হয়। এরপর বাড়ির বাইরে চলে যায় ছেলে। ছেলের অবর্তমানে দূর সম্পর্কের দাদাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এরপর ছেলেকে দিয়ে গাড়ি আনিয়ে দেহ লোপাটের ছক করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ এলাকায় এসে দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে শাবল সহ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মৃতের স্ত্রী ও তার সেই দাদাকে।
advertisement
স্থানীয়দের একাংশের অনুমান, ছেলে ও বাবার বচসার সুযোগ কাজে লাগিয়ে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়। যাতে খুনের ঘটনায় ছেলের ওপর সকলের সন্দেহ হয়। বাড়িতে গাড়ি আনার কথা বলা হলেও ছেলেকে বাবার খুনের ঘটনা জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। গাড়িতে করে দেহ লোপাট করে পুঁতে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বছর পুরনো বিয়ে সম্পন্ন হল এখন! বীরভূমের সুপ্রিয়ার বিয়ে চোখ খুলে দেবে সমাজের...
মৃতের ছেলে বাপি মুসোহর জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই বাবা কাজকর্ম ছেড়ে দিয়েছিলেন। এনিয়ে পারিবারিক অশান্তি লেগে থাকত। মায়ের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় সংসার চালাত। তবে, বাবা খুন হয়ে যাবেন এমনটা ভাবতে পারেননি তিনি। খুনের ঘটনায় জড়িত মা ও আত্মীয়র শাস্তি দাবি করেছে ছেলে।
