আগামী ৮ ডিসেম্বর বিয়ের তারিখও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। সেইমতো বিয়ের আয়োজনও প্রায় শেষ। কিন্তু তার আগে পাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় শিলিগুড়িতে। আত্মঘাতী আইনজীবীর মা সুমনা সাহার অভিযোগ, পণ নিয়েই সম্পর্কে ফাটল ধরে দু'জনের মধ্যে। কমার্শিয়াল ফ্ল্যাট দিয়ে শুরু। নইলে দুই কামরার ফ্ল্যাট অথবা নগদ ২৫ লাখ টাকা পাত্র এবং তাঁর মা দাবি করে বলে অভিযোগ সুমনাদেবীর (West Bengal News)।
advertisement
আরও পড়ুন : নিউটাউনের বেসরকারি হোটেলে বিজেপির বিধায়করা, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা!
অভিযোগ, পাত্রের দাবি মতো পাত্রীপক্ষ পণের টাকা না দেওয়াতেই বেঁকে বসে ওরা। মেয়েকে মারধোরও করা হয়। অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করার কথাও বলে আইনজীবী পাত্র (West Bengal News)। এটা মেনে নিতে না পেরেই গত ৭ জুলাই হাকিমপাড়ায় নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন মেধা সাহা নামে ওই আইনজীবী।
জানা গিয়েছে ৬ জুলাই রাতে মেধার সঙ্গে বচসাও হয় তাঁর হবু স্বামীর। তারপর রাতে ফিরে কিছু না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন মেধা। পরদিন দুপুরে দিদির কাছে একটি মেসেজ পাঠায় মেধা।বেলা বাড়লেই বাড়ির লোকজন টের পান মেধার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করেও সাড়া না মেলায় দরজা ভাঙতেই তারা দেখতে পান মেয়ের ঝুলন্ত দেহ।
ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল আইনজীবী পাত্র। মেয়ের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দেবাঞ্জন চক্রবর্তী নামে এক আইনজীবীকে গ্রেফতার করে। আজ তাকে আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে দু'দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। ফের তাকে তোলা হবে আগামী মঙ্গলবার। অন্যদিকে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মেয়ের পরিবারকেই পাল্টা দায়ী করেছেন ধৃত আইনজীবী। তার দাবি, মেয়ের পরিবার এই বিয়ে চায়নি। অথচ গত এপ্রিলে পাটিপত্রও হয়ে গিয়েছিল। এদিকে আজ আদালতে অন্য আইনজীবীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। উত্তেজনাও ছড়ায়।