সেই ঘোষণার তিন দিনের মাথায় কোচবিহার জেলা তৃণমুল কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বললেন, 'বিরোধীরা যদি প্রার্থী দিতে পারে তাহলে দেবে। তবে এটুকু বলতে পারি বিজেপি সব আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না।'
আরও পড়ুন: জাতীয় দলের তকমা হারানোর পরদিনই নতুন অস্বস্তি! এবার পদত্যাগ করলেন তৃণমূল সাংসদ
advertisement
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, গতকাল ভার্চুয়াল বৈঠকে কোচবিহার জেলার দুই নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও উদয়ন গুহকে ধমক দিয়েছেন তৃনমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই মন্ত্রীর এই ভোলবদল। গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা তৃণমুল নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে কেন জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারপরই এ দিন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন জেলা তৃনমুল নেতারা। বৈঠক শেষে জেলা তৃণমুল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ৭০ জনের জেলা কমিটি তৈরি কিরে অনুমোদনের জন্য রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন এলেই জেলা কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলা! অবশেষে বিকাশ মিশ্রকে হেফাজতে নিয়ে জেরা সিবিআইয়ের! রেকর্ড হবে বয়ান
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার বারই দাবি করছেন, এবারের পঞ্চায়েত ভোট হবে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ৷ বিরোধীরা যাতে প্রার্থী দিতে গিয়ে বাধা না পান, সে বিষয়ে দলের নেতাদের একাধিকবার সতর্ক করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ যদিও উদয়ন গুহের মতো বহু নেতাই সেই পরামর্শে কান না দিয়ে বিরোধীদের শাসানি দিয়ে রেখেছেন৷
কিছুদিন আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী৷ বাম আমলে চাকরি দুর্নীতির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নিজের বাবা প্রয়াত কমল গুহর দিকেই আঙুল তুলেছিলেন তিনি৷ যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি৷ তার পরেই বিরোধীদের কার্যত হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সেই মন্তব্য যে তিনি ভাল ভাবে নেননি, রবিবারের ভার্চুয়াল বৈঠকেই উদয়নকে তা বুঝিয়ে দেন অভিষেক।