গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে জল নিকাশির সমস্যা বেড়েছে। জলবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেহুলা কলোনি এবং বাচ্চা কলোনি এলাকার বাসিন্দারা। এলাকায় পাম্প মেশিন দিয়ে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হলেও ঘনঘন বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ছে রাস্তাঘাট।
সোমবার দুপুর নাগাদ এলাকা পরিদর্শনে যান মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। এ দিকে সংসদের পরিদর্শনের সময়েই পৌঁছে যান তৃণমূল যুব সভাপতি তথা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী শ্রবণ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পরেই প্রকাশ্য রাস্তায় সাংসদ আর তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর মধ্যে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। সাংসদের সামনে তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেন, ‘সাংসদ নাটক করতে এসেছেন!’ সাংসদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “গত পাঁচ বছরে এলাকার নিকাশির জন্য আপনি এক টাকাও খরচ করেননি!”
advertisement
আরও পড়ুন- জল বাড়ছে নদীর! মাটির বাঁধ, আতঙ্কে দিন কাটছে অসম-বাংলা সীমান্তের মানুষের
অন্য দিকে, বিজেপি সাংসদ পাল্টা দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে রাজ্য সরকারকে কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে। এর পরেও এলাকায় নিকাশির সমস্যা মিটছে না কেন? তাঁর কথায়, “ওঁরা মানুষের জন্য কাজ করেন না।
” এ দিকে পরিদর্শন নিয়ে এ দিন বিজেপি সাংসদকে আক্রমণ করেন পুরনো মালদহ পুরসভার তৃণমূল পুরপ্রধান কার্তিক ঘোষ। তিনি বলেন, “যে এলাকায় সাংসদ গিয়েছেন সেখানে পুরসভা নিয়মিত পাম্প চালিয়ে জল নিষ্কাশন করছে। ওই এলাকায় নতুন নর্দমার ৫৫ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। বাকি অংশের কাজের জন্য টেন্ডার এবং ওয়ার্ক অর্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।”
কেন্দ্রীয় সরকার বা সাংসদ পুরাতন মালদা পুরসভাকে কোনও অর্থ দেননি বলে সরব হন তৃণমূল চেয়ারম্যানও।
এদিন ওই এলাকার নিকাশি সমস্যা নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং রেল কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি সংসদ।
স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য বলছেন, এভাবে বচসা বা কাঁদা ছোড়াছুড়ি নয়। রাজনৈতিক বিবাদ, বিতর্ক নয়। বরং তাঁরা চান সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
