ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া ডাঙ্গি এলাকায় প্রায় ১১ একর জমির উপর কয়েক লক্ষ গাছ লাগানো হয়েছিল। ফরেস্ট থেকে কয়েকশো মিটার দূরেই একটা সময়ে আত্রেয়ী নদী বয়ে চলত। প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনের ফলে বর্তমানে ডাঙ্গি ফরেস্টের অনেক অংশই গ্রাস করে ফেলেছে আত্রেয়ী নদী। বিগত কয়েকদিন যাবৎ সমস্ত উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়েও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। আর এই বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে নদীর জলস্তর অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নদীর পাড় ভাঙ্গন শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিস্তীর্ণ এই বনভূমিকে বাঁচানো দায় হয়ে পড়বে।
advertisement
আরও পড়ুন: যানবাহনের চাপে সাইকেল নিয়ে চলা দায়! এবার আলাদা করে লেনের দাবি তুললেন সাইকেল আরোহীরা
একটা সময়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই ফরেস্টটিকে ইকো ট্যুরিজম পার্ক করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সেই প্রকল্প অজানা কারণে থমকে গেছে। ফলে বিস্তীর্ণ জমিতে এখন শুধু গাছ রয়েছে। পাশাপাশি শীতের মরসুমে এই ফরেস্টে পিকনিক করার ভিড় সব থেকে বেশি নজরে আসে। কেননা জেলা বন দফতরের পক্ষ থেকে পিকনিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে সমস্ত ফরেস্টগুলিতে। আত্রেয়ী নদীর জলস্তর বেড়ে গেলেই প্রতিবছরই নদীগর্ভে প্রচুর গাছ চলে যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন কিংবা জেলা পরিষদের কাছে একাধিকবার বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেচ দফতরের পক্ষ থেকেও এই ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করার পাশাপাশি মাপজোক পর্যন্ত করা হয়। এরপরেও আজও সেই সমস্যা সমাধান হয়নি। অবিলম্বে এই এলাকা জুড়ে নদীর ভাঙ্গন রোধ করবার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই বনভূমিকে রক্ষা করা দায় হয়ে পড়বে।
সুস্মিতা গোস্বামী