মূল টানেলটি ৩০৮২ মিটার প্রশস্ত, এর সঙ্গে একটি প্রবেশযোগ্য টানেলও রয়েছে। ৬৫০ মিটার প্রশস্তের এই গুহাটির ডিজাইনের অংশ হিসেবে একটি সিঙ্গেল প্ল্যাটফর্ম আছে। এই বিস্তৃত গুহাতে ছয়টি ক্রস প্যাসেজের নেটওয়ার্ক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মোট অ্যাডিট দৈর্ঘ ৮০০ মিটার, এটি প্রকল্পটির ব্যাপক পরিসরকেই প্রদর্শন করে। যাত্রীদের সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে এর বিন্যাসে নিখুঁত বায়ু চলাচল সংযুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে ভূগর্ভস্থ একটি স্থানের মধ্যে এক অনকূল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আজই আটকে থাকা টাকা ঢুকবে হুহু করে! নাকি খরচ হবে জলের মতো? রাশি মিলিয়ে জানুন নিজের অর্থভাগ্য
পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলার তিস্তার নিকট অবস্থিত টানেলটি দুর্বল ও প্রত্যাহ্বানমূলক ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থা এবং তরুণ হিমালয়ের ভূকম্পীয় অবস্থার মধ্য দিয়ে প্রসারিত হয়েছে। এসআরআরপি-এর অন্যান্য সমস্ত টানেলের মতো মাটির ভারের দুর্বলতা প্রতিরোধ করতে, সর্বশেষ ও সবচেয়ে আধুনিক ও পরিশীলিত টানেলিং টেকনোলজি তথা নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং মেথড (এনএটিএম) ব্যবহার করা হয়েছে।
সেবক-রংপো নতুন রেল সংযোগী প্রকল্পটি প্রায় ৪৫ কিঃমিঃ লম্বা, যা সেবক (পশ্চিমবঙ্গ) ও রংপোকে (সিকিম) সংযুক্ত করবে এবং এতে ১৪টি টানেল, ১৭টি ব্রিজ ও ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দীর্ঘতম টানেলটি (টি-১০) ৫.৩ কিমি এবং দীর্ঘতম ব্রিজটি (ব্রিজ নং.-১৭) ৪২৫ মিটার লম্বা। সমগ্র প্রকল্পটির প্রায় ৩৮.৬৪ কিঃমিঃ বিন্যাস টানেলের মাধ্যমে অতিক্রম হয়েছে এবং টানেল নির্মাণের ৯২.৩১ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে।বর্তমানে টানেল টি-১৪, টি-০৯ এবং টি-০২ -এ ফাইনাল লাইনিং সম্পূর্ণ করা হয়েছে এবং টানেল টি-০৩, টি-০৫, টি-০৬, টি-০৭, টি-০৮, টি-১০, টি-১১ ও টি-১২-এর কাজ অগ্রগতি লাভ করেছে।
আজকের তারিখ পর্যন্ত মোট ১১.৯৬ কিমি লাইনিং সম্পূর্ণ হয়েছে। সবগুলি বিভাগের কাজ দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চালানো হচ্ছে। এটি ভারতের অন্যতম একটি মর্যাদাপূর্ণ নির্মীয়মাণ জাতীয় প্রকল্প এবং প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে প্রথমবারের জন্য সিকিম রেলওয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে যাবে। এই রেল নেটওয়ার্কটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর সিকিমের সঙ্গে একটি বিকল্পমূলক সংযোগ প্রদান করবে। প্রকল্পটি দ্রুত সম্পূর্ণ করতে বর্তমানে টানেল, ব্রিজ ও স্টেশন ইয়ার্ড নির্মাণ সম্পর্কিত সমস্ত কার্যকলাপ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চালানো হচ্ছে।