দিন দিন শহরে বাড়ছে দুই, তিন এবং চার চাকার গাড়ির সংখ্যা। তুলনায় বাড়েনি রাস্তা, উড়ালপুলের সংখ্যা। ব্যস্ত সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে কালঘাম ছোটে সাধারনের। শহরের গতিও অনেকটাই কমেছে। আর তাই গতি ফেরাতে বন্ধ করা হচ্ছে টোটো এবং রিকশা। মূলত শহরের পাঁচ রাস্তায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হচ্ছে ওই দুই বাহন। কোন কোন রাস্তায়? হিলকার্ট রোড, সেবক রোড, বর্ধমান রোড, বিধান রোড এবং স্টেশন ফিডার রোডে বন্ধ করা হচ্ছে টোটো এবং রিকশা। এদিন শিলিগুড়ির এয়ারভিউ মোড়ে, সেবক মোড় এলাকায় অভিযান চালায় ট্রাফিক পুলিশ। অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু টোটো ও রিকশা আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় রিকশা চালক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। পানিট্যাঙ্কি ট্রাফিক গার্ডের অফিসের সামনে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়।উল্লেখ্য, ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ হচ্ছে রিকশা চলাচল। আর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর অর্থাৎ ২১ এপ্রিল থেকে বন্ধ হচ্ছে টোটো চলাচল। এছাড়া আদালতের নির্দেশে শহর ঘেঁষা জাতীয় সড়ক এবং এশিয়ান হাইওয়েতেও টোটো চলাচল বন্ধ করা হচ্ছে। টোটো ও রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত নির্দেশিকা চালু হওয়ায় মেয়র গৌতম দেবের বাড়ির সামনে ও শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল টোটো চালকরা।
advertisement
তবে রিকশা এবং টোটো চলবে শহরের অলিতে - গলিতে। অর্থাৎ বাইলেনে স্বাভাবিক থাকছে পরিষেবা। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনও টোটোই চলবে না শহরে। কড়া হাতে তার মোকাবিলা করবে ট্র্যাফিক পুলিশ। এতে সাময়িক অসুবিধে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবু যানজট থেকে মুক্তি মিলবে বলে মনে করছেন অনেকে।
Vaskar Chakraborty