আর্থিক প্রতারণার পুরনো মামলায় বেশ কিছুদিন ধরেই হানকে খুঁজছিল উত্তর প্রদেশে পুলিশের এটিএস। এরপর ১১ জুন মালদহের কালিয়াচক থানার অধীন মিলিক সুলতানপুর এলাকায় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে হাঁ। কাঁটাতার বিহীন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের ভিসা নিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বিশেষ কোনও উদ্দেশ্যই এপারে ঢুকেছিলেন হান। ধরা পড়ার পর প্রথম ৩-৪দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তে এগোচ্ছিল জেলা পুলিশ। এরইমধ্যে তদন্তের দায়িত্ব ভার তুলে দেওয়া হয় এসটিএফের হাতে। পরে এস টি এফ তাঁকে ১০ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। তাঁর ল্যাপটপ এবং আইফোন খোলার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু, তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে হানের বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় গতকাল শুক্রবার জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
advertisement
শুক্রবার সন্ধ্যাতেই চিনা নাগরিক হানকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ জেলা সংশোধনাগারে। এ দিন পুরনো মামলায় হানকে উত্তরপ্রদেশের নিয়ে যেতে চেয়ে আদালতে কাছে আর্জি জানায়। উত্তরপ্রদেশ এটিএস সূত্রে খবর, লখনউতে হানের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা, সাইবার ক্রাইম-এ অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলায় ইতিমধ্যেই তাঁর নামে জারি হয়েছে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট। সব ঠিকঠাক থাকলে ২ জুলাই তাঁকে পেশ করা হবে লখনউ আদালতে। মালদহ জেলা সংশোধনাগার থেকে সুদুর লখনউ হানকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছিল আদালতের অনুমতির। এ দিন সেই আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় হানকে উত্তর প্রদেশে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাঁধা রইল না। সেখানে তাঁকে আরও জিঞ্জাসাবাদ করতে চান অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডের তদন্তকারীরা।
Sebak DebSarma