বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডঃ প্রণব ঘোষ জানান, সকলেরই লক্ষ্য থাকে ভালো কলেজে ভর্তি হওয়া। সেক্ষেত্রে নামী কলেজগুলোয় চাপ বাড়বে। কিন্তু মার্কসের ভিত্তিতে ভর্তি হলে তা হবে না। অপেক্ষাকৃত বেশী নম্বর পাওয়া পড়ুয়ারা ভালো কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে। তার চেয়ে কম নম্বর পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা অন্য কলেজে ভর্তি হলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কেননা আগের চাইতে কলেজের সংখ্যা বেড়েছে। তবে এই মূহূর্তে কলেজগুলোয় আসন সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কর্তৃপক্ষ।শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত ঘোষের দাবি, যদি শিলিগুড়ি মহকুমায় প্রতিটি কলেছে ছাত্র-ছাত্রীরা সমানভাবে ভর্তি হয় তাহলে কোনও সমস্যা হবে না। কেননা প্রতিবারই শিলিগুড়ি কলেজের ওপর চাপ বাড়ে। অনেকেরই শিলিগুড়ি কলেজ থেকে স্নাতক পাস করার ইচ্ছে থাকে। কিন্তু মহকুমার অন্য কলেজগুলোয় পাস এবং অনার্সে আসন ফাঁকাই থাকে।
advertisement
এখনও পর্যন্ত এবারে পাস এবং অনার্সে আসন সংখ্যা বাড়েনি। নতুন নির্দেশিকাও আসেনি। আজ থেকে আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত শিলিগুড়ি মহকুমার প্রতিটি কলেজের অনলাইন পোর্টাল খোলা থাকবে। আবেদনের সংখ্যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে কি সিদ্ধান্ত জানায় বিশ্ববিদ্যালয়, সেদিকে নজর রাখবে কলেজগুলো। এদিকে আজই পাস এবং অনার্সে আসন বাড়ানোর দাবী জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে শিলিগুড়ি কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি জয়ন্ত কর জানান, নির্দিষ্ট আসন সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা ঠিক করবে। তবে আসন বাড়লে পরিকাঠামোর দিক থেকে কোনো সমস্যা হবে না। কেননা কলেজের নতুন ভবনের কাজ শেষ হয়েছে।উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় আলিপুরদুয়ারে ১০টি, দার্জিলিং জেলায় ২১টি, জলপাইগুড়িতে ১১টি, কালিম্পংয়ে ৪টি, উত্তর দিনাজপুরের ২টি এবং কোচবিহারের ১টি কলেজ রয়েছে।
Partha Sarkar