রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অবৈধ কার্যকলাপ দমন এবং বন্যপ্রাণী অপরাধ প্রতিরোধের জন্য উচ্চ স্তরের সতর্কতা বজায় রেখে, পূর্ব রেলের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) “অপারেশন ওয়াইল্ডলাইফ” (অপারেশন ওয়াইলপ)-এর অধীনে মালদহ ডিভিশনের বন্যপ্রাণী পাচারের একটি সংগঠিত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে।
মালদহ ডিভিশনের কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীরা বারহারওয়া এবং মালদহ রেলওয়ে স্টেশনে নিবিড় তল্লাশি চালান, যার ফলে চারজন বন্যপ্রাণী পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয় এবং ৭৯০টি জীবিত কচ্ছপ ভর্তি ২৪টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
advertisement
বারহারওয়া রেলওয়ে স্টেশনে, ১৫৭৩৪ আপ (ফারাক্কা এক্সপ্রেস) ট্রেন থেকে ১৮টি ব্যাগে থাকা ৬৬২টি জীবিত কচ্ছপসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
মালদহ রেলওয়ে স্টেশনে আরেকটি দ্রুত ও সমন্বিত অভিযানে, ১৩৪১০ ডাউন (ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস) ট্রেন থেকে ৬টি ব্যাগে থাকা ১২৮টি জীবিত কচ্ছপসহ একজন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার করা সব ব্যক্তিকে, উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীসহ, আইন অনুযায়ী পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাক্রমে সাহেবগঞ্জ এবং মালদহের সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই সফল অভিযানটি পূর্ব রেলের আরপিএফ-এর সতর্কতা, পেশাদারিত্ব এবং সক্রিয় ভূমিকার উপর জোর দেয়, যা কেবল যাত্রী ও রেলওয়ের সম্পত্তি সুরক্ষাই নয়, বরং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য জাতীয় প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতীয় রেল বন্যপ্রাণী পাচার রোধে আরপিএফ এবং বন বিভাগের সহায়তায় নজরদারি বাড়ানো, ‘অপারেশন ওয়াইলপ’-এর মতো অভিযান চালানো, প্রযুক্তি ব্যবহার (যেমন এআই-ভিত্তিক শনাক্তকরণ সিস্টেম, থার্মাল ক্যামেরা), এবং ট্রেনের মধ্যে তল্লাশি ও অভিযান পরিচালনা করে কঠোর ভূমিকা পালন করছে, যার ফলে নিয়মিতভাবে পাচার হওয়া বন্যপ্রাণী উদ্ধার হচ্ছে।
