শুধু তাই নয়, গতকাল নিউজ ১৮ বাংলাকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিডিও প্রশান্ত বর্মন দাবি করেছিলেন, আমি অনেক দিন আগে কলকাতায় গিয়েছিলাম৷ ২৭-২৮ অক্টোবর আমি কলকাতায় যাইনি৷ স্বপন কামিল্যা নামে ওই ব্যবসায়ীকেও আমি চিনি না৷ যদিও তদন্ত করতে গিয়ে বিধাননগর পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ২০ অক্টোবর বাগডোগরা থেকে বিমানে কলকাতায় আসেন বিডিও প্রশান্ত বর্মন৷ ২৯ অক্টোবর কলকাতা থেকেই বিমানে বাগডোগরা ফেরেন তিনি৷ গত ২৮ অক্টোবর স্বপন কামিল্যা নামে ওই স্বর্ণব্যবসায়ীকে অপহরণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ৷ বিমানের যাত্রীদের সেই তালিকা সংগ্রহ করেছে পুলিশ৷ ফলে কেন বিডিও মিথ্যে কথা বললেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷
advertisement
গত ২৮ অক্টোবর দত্তাবাদের দোকান থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা স্বপন কামিল্যাকে অপহরণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ৷ রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণই গাড়িতে কয়েক জন সঙ্গীকে নিয়ে এসে ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর বাড়ির মালিককে অপহরণ করেন বলে অভিযোগ৷ বাড়ির মালিককে সেদিনই ছেড়ে দেওয়া হলেও দু দিন বাদে নিউ টাউন থেকে স্বপন কামিল্যার মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বিডিও প্রশান্ত বর্মনের বাড়িতে কিছুদিন আগে সোনার গয়না চুরি হয়৷ সেই গয়না ওই ব্যবসায়ীর দোকানে বিক্রি করা হয় বলে দাবি করেন ওই বিডিও৷ সেই সূত্রেই স্বপনবাবুর খোঁজ করতে তাঁর পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাড়িতেও পৌঁছন তিনি৷ বিডিও যেদিন দাঁতনে যান, সেদিনের একটি ভিডিও সংবাদমাধ্যমকে দেয় মৃত ব্যবসায়ীর পরিবার৷
অভিযুক্ত বিডিও অবশ্য এ গোটা ঘটনাকেই ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন৷ তাঁর দাবি, ‘আমার কোনও বাড়ি নেই, আমার কোনও সোনা চুরি হয়নি৷ যারা সোনা চুরি করেছে, সোনা গলিয়েছে তারাই বড় গলায় কথা বলছে৷ তদন্ত হোক, সত্যিটা সামনে আসবে৷’ প্রসঙ্গত গতকালই বিডিও-র বাড়িতে সোনা চুরিতে অভিযুক্ত অশোক কর নামে প্রশান্ত বর্মনেরই প্রাক্তন এক কর্মী গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন৷
রাজগঞ্জের বিডিও এ দিন আরও দাবি করেছেন, ‘চক্রান্ত চলছে কীভাবে দবাং বিডিও-কে মাটিতে শোয়ানো যায় তার ষড়যন্ত্র চলছে৷ চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত থাকবে না, দবাং বিডিও দবাং-ই থাকবে৷ কারা চক্রান্তকারী, আমি সেই খবর পেয়েছি৷’
