কি চাষে বেশী ব্যবহৃত হবে এই সার? চা বাগানের জন্য এই সারের ব্যপক চাহিদা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের একাধিক চা বাগানে যাবে এই সার। এমনকি পাহাড়ের চা বাগানেও সরবরাহ করা হবে এই সার। পাশাপাশি বাড়ির ফুল, ফল এবং সবজি চাষেও বেশ কার্যকরী। শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। বিদেশী সংস্থা এগিয়ে আসায় সার তৈরীতে গতি এল। প্রতিদিন শিলিগুড়িতে প্রচুর পরিমান জঞ্জাল জমে। শহরের ৪৭টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন বাজার থেকে বর্জ্য ফেলা হয় ডাম্পিং গ্রাউণ্ডে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে জঞ্জাল পৃথকীকরণের জন্যে দু'ধরনের পাত্র দেওয়া হয়েছে বাড়ি বাড়ি। তা সাফাই কর্মীরা সংগৃহীত করে ডাম্পিং গ্রাউণ্ডে নিয়ে যাবে। প্রথম দফায় শিলিগুড়ির ২ এবং ১৭ নং ওয়ার্ডের জঞ্জাল দিয়েই জৈব সার তৈরীর প্রক্রিয়া শুরু হল।
advertisement
প্রতি মাসে ২ টন সার তৈরী করা যাবে। তাই এই দুই ওয়ার্ড ছাড়াও বিধান মার্কেটের বর্জ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে। আপাতত মাসে ১ টন জৈব সার তৈরী করা হচ্ছে। মেয়র জানান, পরবর্তীতে আরো ১৪টি ওয়ার্ড সংযোজিত করা হবে। ধাপে ধাপে অন্য ওয়ার্ডগুলোর জঞ্জাল সংগ্রহ করা হবে। আপাতত ১ এবং ৫ কেজি প্যাকেটের সার বাজারে নিয়ে এল পুরসভা। প্রতি কেজি সারের দাম ১২ টাকা। পুরসভার উলটো দিকে একটি দোকানে মিলছে এই জৈব সার। শুরুতেই এর চাহিদা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই সার নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করলো শিলিগুড়ি পুরসভা।
PARTHA PRATIM SARKAR