অপর্ণা বর্তমানে আলিপুরদুয়ার থাকেন না। দিল্লিতে এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থায় তিনি কর্মরত। হু এর ডাকে ভারতের হয়ে বিশ্বের দরবারে পরিবেশ বিজ্ঞান এবং সেইসঙ্গে দিল্লির দূষণ ও সেখানকার বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে আলোচনা করছেন। গত ২৫ মার্চ থেকে কলম্বিয়ায় ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। আমন্ত্রণ পেয়ে দিল্লি থেকে কলম্বিয়ায় গিয়েছেন তিনি। আলিপুরদুয়ার শহরের দু’নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি অপর্ণার।
advertisement
অপর্ণার বাবা অমল বসু একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। অপর্ণার ছোটবেলা কেটেছে আলিপুরদুয়ারে। প্রাথমিক শিক্ষা একটি বেসরকারি স্কুলে। পরবর্তীতে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা করেন শিলিগুড়িতে। এরপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নালিজমে গ্র্যাজুয়েশন করেন অপর্ণা। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
আরও পড়ুন : চাকরি ছেড়ে নিজের শেষ সঞ্চয় দিয়ে আগামী প্রজন্মকে গড়ার অঙ্গীকার! প্রাক্তন শিক্ষকের কাজ অবাক করবে
সংবাদমাধ্যমে কাজ করার পাশাপাশি গবেষণার কাজ চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। তার লেখা নানা জার্নাল বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। যা নজরে পড়েছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের। এরপরেই তিনি ডাক পেয়েছেন কলম্বিয়ায়। অপর্ণার মা ব্রততী বসু এবং বাবা অমল বসু জানিয়েছেন, ‘‘পরিবেশ নিয়ে ছোটবেলা থেকেই ওর খুব জানার ইচ্ছে। লেখালেখি ছোটবেলা থেকেই করে।এর আগে নেপালে আয়োজিত এক সেমিনারে গিয়েছিল মেয়ে। এখন কলম্বিয়াতে গিয়েছে। আমরা খুব গর্বিত ওকে নিয়ে।’’