রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের তরফে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন সেই কর্মসূচিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি যুক্ত হতে না পারলেও মঞ্চে কালো কাপড় জড়িয়ে তাঁর প্রতিবাদ চালিয়ে যান। রবিবার সকালেই কোচবিহার নিয়ে ট্যুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, '৩ দিনের জন্যে কোচবিহারে প্রবেশ রুখতে পারে, কিন্তু চতুর্থ দিনেই আমি সেখানে যাব। নিজের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে বিশ্বের কেউ আটকাতে পারবে না।'
advertisement
সূত্রের খবর, আগামী ১৪ তারিখ কোচবিহার যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন, 'আমি যে ভাবে পারি সাহায্য করব। ওখানে গিয়ে আপনাদের সঙ্গে দেখা করব। যা বিচার চাওয়ার চাইব। যিনি মারা গিয়েছেন, তাঁকে তো ফেরাতে পারব না। তবে আমরা ওঁদের পরিহারকে সাহায্য করব। আমি ১৪ তারিখ যাওয়ার চেষ্টা করছি। তখন দেখা করব।'
এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, 'আমার কাছে খবর আছে কেন্দ্রীয় বাহিনীই গুলি করে সাধারণ লোককে মেরেছে। তার পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নজিরবিহীন। এতগুলোর লোকের রক্ত আমাকে মর্মাহত করছে। আমি যদি মনে করি আমি কিছু করব, তা হলে তা করবই।'
নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর মমতা বলেন, ‘আমি শীতলকুচি না গিয়েও কিন্তু শীতলকুচিতেই রইলাম। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বললাম। আমি আবারও বলছি, মৃতের পরিবারের সব দায়িত্ব আমার।’ মমতা বন্দোপাধ্যায় না গেলেও তৃণমূলের নেতারা এদিন যাবতীয় খোঁজ খবর নিয়েছেন নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের৷ তবে শীতলকুচি যে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক অস্ত্র সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন কালো চাদর গায়ে দিয়ে প্রতিবাদ করে।
