তবে খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এলেও ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে এড়িয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ খগেন মুর্মুর কাছে গিয়ে তাঁর সম্পর্কে বিশদে খোঁজখবর নিলেও গতকালের ঘটনায় আহত শিলিগুড়ির বিধায়কের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনও কৌতূহলই দেখাননি মমতা৷ প্রসঙ্গত, গতকাল নাগরাকাটায় সাংসদ খগেন মুর্মুর সঙ্গে ছিলেন শঙ্কর ঘোষও৷ তাঁকেও মারধর করে ক্ষিপ্ত জনতা৷ তাঁকে খুন করার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন শঙ্কর৷
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী কেন শঙ্করকে দেখতে গেলেন না, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে বিজেপি-ও৷ দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘শঙ্কর ঘোষ বিধানসভার সদস্য, আমাদের মুখ্যসচেতক৷ তাঁর শরীর থেকে হয়তো সেভাবে রক্ত বেরোয়নি, তাই তাঁকে দেখতে যাওয়ার উৎসাহ দেখাননি মুখ্যমন্ত্রী৷ খগেন মুর্মুকে দেখতে গিয়ে উনি সৌজন্যের রাজনীতি করেছেন৷ আমরা এর মধ্যে ঢুকছি না৷ কিন্তু যারা গতকাল এই ঘটনা ঘটিয়েছে, যে পিঙ্কি খাতুন তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান, যার প্ররোচনায় এই ঘটনা সংগঠিত হয়, তৃণমূলের যে তিন জন প্রতিষ্ঠিত মুখ এই ঘটনা ঘটাল, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কেন এখনও ব্যবস্থা নিল না?’
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এ দিন শিলিগুড়ির হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় দাাবি করেছেন, বিজেপি সাংসদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীলই রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘ওনার ডায়াবেটিস রয়েছে৷ যাঁরা ডায়াবেটিক, তাঁদের একটু পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়৷ এমনি সব ঠিক আছে৷ আমি চিকিৎসকদের রিপোর্টও দেখেছি৷ ওঁর কানের পাশে একটু লেগেছে৷’