জানাগিয়েছে, মালদহের হবিবপুর থানার বুলবুলচন্ডীর কেন্দুয়ার বাসিন্দা ওই গৃহবধূ। নাবালিকা অবস্থাতেই প্রায় ১৫ বছর আগে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় মালদহের গাজলের ময়নার বাসিন্দা জ্যোতিষ মন্ডলের সঙ্গে। স্বামী পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। ওই দম্পতির ১৪ বছরের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। স্ত্রীর দাবি, তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে সন্দেহ করতেন স্বামী। এনিয়ে মাঝেমধ্যে দাম্পত্য কলহ হয়। "সন্দেহবাতিক" স্বামীকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু, তাতেও কোনো কাজ হয়নি। শেষে শশুর বাড়ির লোকজনকে স্বামীর চিকিৎসা করানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন তিনি।
advertisement
এরইমধ্যে গতকাল রাতে ঝগড়া অশান্তির সময় আচমকা মুখে অ্যাসিড দিয়ে হামলা চালায় স্বামী।
আরও পড়ুন - Electric Motor Bike: ধামাল বাইকের কামাল চমক, একবার চার্জে দৌড়বে ১২০ কিমি
অ্যাসিড আক্রান্ত হয়ে শেষপর্যন্ত বাপের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বামীর কাছে অনুরোধ জানালে মঙ্গলবার সকালে হবিবপুরের কেন্দুয়ার বাড়ির সামনে তাঁকে ফেলে রেখে চলে যায় স্বামী। অ্যাসিড হামলাতে মুখ এবং জিভ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাঁর চিকিৎসা পর্যন্ত করাননি স্বামী। শেষপর্যন্ত বাপের বাড়ির লোকজন ওই মহিলাকে প্রথমে নিয়ে যান বুলবুলচন্ডী গ্রামীণ হাসপাতাল। সেখান থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় মালদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। স্বামীর উপযুক্ত বিচারের দাবি করেছেন অ্যাসিড আক্রান্ত স্ত্রী।
ওই গৃহবধূর বাবা জিতেন মন্ডল বলেন, মেয়েকে অল্প বয়সেই সম্বন্ধ করে বিয়ে দিয়েছিলাম। প্রথমে মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থাও যথেষ্ট খারাপ। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই দুজনের মধ্যে দাম্পত্য বিবাদ দেখা যায়। দু'জনকেই মানিয়ে নিয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এরইমধ্যে আজ সকালে হঠাৎই জামাই এসে মেয়েকে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে মেয়ে অ্যাসিড হামলার কথা জানায়। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। অভিযোগ অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Sebak DebSarma