এই নিয়েই আপত্তি তুলেছে পূণ্যার্থীরা। যার জেরে বেশ কয়েকটি পরিবার ঘাটে পুজা করতে পারবে না। অথচ দীর্ঘ দিন ধরে এই ঘাটে ছট পুজা হয়ে আসছে। এর আগে ঘাট পরিদর্শনে গেলে পুর প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্যকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় পুজা উদ্যোক্তারা। তিনি আজও জানান, শিলিগুড়ির ১৪৫টি ঘাটে ছট পুজা হচ্ছে। কোনো অভিযোগ আসেনি। আর যা করা হয়েছে তা গ্রিণ ট্রাইবুনালের নির্দেশ মেনে। মহকুমা শাসক নির্দেশিকা পুরসভার কাছে পাঠিয়েছে। এবারে নদীর পার সৌন্দার্যায়নে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা। নদীর পারে রেলিং তৈরীর কাজ শুরু করেছে। এনিয়েই প্রথম দিন থেকেই প্রশ্ন তুলে আসছে পুজো উদ্যোক্তারা।
advertisement
মহকুমা শাসকের নির্দেশ মেনেই পুরসভা পূণ্যার্থীরা যাতে নামতে পারেন সেজন্য ৫০ ফুট রেলিংও ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু তাতেও খুশী নয় উদ্যোক্তারা। কেননা এতেও তাদের সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি বলে দাবী। তাই আজ তারা লাল কাপড় বেঁধে নদীতে নেমে মৌন প্রতিবাদ জানায়। সন্ধ্যেয় মোমবাতি মিছিলও করে।
অন্যদিকে এসজেডিএ'র ভাইস চেয়ারম্যান নান্টু পাল জানান, সমস্যার সমাধানে পুরসভা ব্যর্থ। বারবার বলার পরও পুরসভার হেলদোল নেই। তাই পুজার আগেও জট সেই তিমিরেই। এদিকে পূণ্যার্থীরা সাফ জানান, সমস্যা জিইয়ে রয়েছে। আইন মেনেই পুজো হবে। সেক্ষেত্রে বাড়িতেই পুজো হবে, ঘাটে নয়। ছট পুজা কমিটির অন্যতম সদস্য মনোজ ভার্মা জানান, এই প্রথম এই ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হল।
Partha Pratim Sarkar