#শিলিগুড়ি: প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি এ বারে এগিয়ে এল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। শহর ও লাগোয়া বিভিন্ন এলাকা জীবাণুমুক্ত করার প্রয়াসে। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের স্বপ্নে। অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ দিয়ে স্যানিটাইজেশন করতে পথে নামলেন "শিলিগুড়ি আমরা ক'জন সমাজ কল্যাণ সংস্থা"। টানা আড়াই মাস লকডাউনে এই সংস্থার সদস্যরাই কমিউনিটি কিচেন করে খাইয়েছিলেন বিপিএল পরিবারের মানুষদের। প্রতিদিন গড়ে ৫০০ জনের মুখে তুলে দিয়েছিলেন অন্ন! কোনও দিন ডিম ভাত তো কোনও দিন পাতে ছিল মাছের ঝোল। আবার পেটপুরে খাইয়েছেন মাটন, চিকেনও!
advertisement
লকডাউন শেষে এখন চলছে আনলক টু । কিন্তু মারণ করোনা ক্রমেই তার জাল বিস্তার করছে শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকায়। প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসনও। এর মধ্য দিয়েই চলতে হবে। ধাপে ধাপে বিভিন্ন পরিষেবা চালু হচ্ছে। রাস্তায় লোক নামছে। বাড়ছে সংক্রমণ। তবু সতর্কতাই একমাত্র পথ। আর তাই যেখানে লোকের সমাগম সেইসব এলাকাকে বেছে নিয়ে সংস্থার সদস্য সোম দাস, বুড়া বণিক, বিশু দাসরা স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু করল আজ থেকে।
করোনা আবহেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওঁরা আজও পথে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের তালিকায় মন্দির, থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, হাসপাতাল ও বাজার রয়েছে। কেননা এইসব এলাকাতেই প্রতিদিন সাধারণ মানুষের আনাগোনা বেশী। আজ শিলিগুড়ি লাগোয়া একাধিক জায়গায় চলে স্যানিটাইজেশন পর্ব। সংগঠনের সদস্যরা হাজির হন স্যানিটাইজেশন ট্যাঙ্কার নিয়ে। শহর লাগোয়া শান্তিনগর বউবাজার স্যানিটাইজ করা হয়। তারপর ইস্টার্ন বাইপাসের বুড়াবুড়ি মন্দির জীবাণুমুক্ত করা হয়। শেষে আশিঘর পুলিশ ফাঁড়িও আজ স্যানিটাইজ করে সংস্থার সদস্যরা। সংগঠনের সদস্য সোম দাস জানান, ধাপে ধাপে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, থানা, বাজার স্যানিটাইজ করা হবে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। যা ভাবাচ্ছে আমাদের। তাই আর ঘরবন্দী না রেখে পথে নেমে পড়া। তাঁদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরবাসী।
