২০০৭-এ পাহাড়ে পৃথক গোর্খাল্যাণ্ড রাজ্যের দাবীতে আবির্ভাব হয় বিমল গুরুংয়ের। ফের মাথাচাড়া দেয় অতুলের নেতৃত্বে কেপিপি। যৌথভাবেও আন্দোলন হয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষমতা নিয়ে বিভক্ত হয় কেপিপি শিবির। একদিকে অতুল রায় গোষ্ঠী, অন্যদিকে নিখিল রায় গোষ্ঠী। আলাদা হয়ে নতুন দল গঠন করেন অতুল রায়। নাম দেন কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টি বা কেপিপি। তবে বদলায়নি আন্দোলনের স্লোগান। বদলায়নি আন্দোলনের রূপরেখাও। উত্তরবঙ্গে কামতাপুর, রাজবংশী আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অতুল রায় আজ আর নেই। কোভিড কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ।
advertisement
প্রথমে তাঁকে ভর্তি করা হয় প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে। তারপর গত ২৪ মে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে ভর্তি করা হয় মাটিগাড়ার অন্য একটি বেসরকারী হাসপাতালে। স্থিতিশীলই ছিলেন। ক্রমেই শারিরীক অবস্থার অবনতি হয়। আজ দুপুর দেড়টায় মৃত্যু হয় কামতাপুর আন্দোলনের নেতাকে। নিজেদের দাবী আদায়ে কখনও তৃণমূল, কখনও বা বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছে কেপিপি। পরবর্তীতে তাদের দাবী মেনে মুখ্যমন্ত্রী তৈরী করেন কামতাপুর চাষা আকাদেমী। যার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন প্রয়াত অতুল রায়।
তাঁর মৃত্যুতে ট্যুইট করে শোক জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রয়াত নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে নার্সিংহোমে যান গৌতম দেব। শেষ শ্রদ্ধা জানান মাটিগাড়ার বিজেপি বিধায়ক আনন্দ বর্মনও। সকলেই বলেন, উত্তরের রাজনীতিতে নক্ষত্রের পতন হল। শূন্যতার সৃষ্টি হল। শোকতপ্ত তাঁর অনুগামীরা। নার্সিংহোমে ভিড় জমান অতুল অনুগামীরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা।
