উত্তরবঙ্গ অবহেলিত উন্নয়ন নেই এমন কথা প্রায়শই শোনা যায়। সব ক্ষেত্রেই ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে উত্তরের আট জেলা, অভিযোগ করেন স্থানীয়রাই। অনেকে বলেন, এখানকার মানুষের দাবি নিয়ে রাজ্য ওয়াকিবহল নয়। উত্তরের চা বাগান থেকে পর্যটন, সবেতেই অনুন্নয়ন, অথচ দাবি শুনছে না রাজ্য, ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে উত্তরবঙ্গ। এমনকী উত্তরবঙ্গের জন্যে উত্তরকণ্যা প্রশাসনিক ভবন তৈরি করা হলেও সেখানে কোনও মন্ত্রী বা আমলা বসেন না। তাহলে কেন এই ভবন? প্রশ্ন তুলে মাটিগাড়ার বিজেপি বিধায়ক বলেন, কেন্দ্রের আওতায় থাকলে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন সম্ভব। কেন্দ্রই পারবে পৃথক রাজ্য গঠন করতে। আগামীদিনে উত্তরবঙ্গে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলে ভালো। উত্তরবঙ্গের জনপ্রতিনিধিরা উত্তরের মানুষের জন্যে লড়বেন।
advertisement
দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বা বলেন, পৃথক গোর্খাল্যাণ্ড রাজ্যের দাবী বহু পুরনো। স্বাধীনতার আগে থেকে এই দাবী উঠে আসছে। উত্তরবঙ্গ আজ সব দিক থেকে পিছিয়ে। অন্য জনজাতির মানুষেরা তা বুঝতে পারছে। তাই পৃথক রাজ্যের দাবী উঠছে। জন বার্লার দাবীর বিরোধীতা করার প্রশ্নই নেই। কেননা রাজ্যে উন্নয়ন মানে দক্ষিনবঙ্গ। পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি আগামীদিনে আলাদা গোর্খাল্যাণ্ড আদায়ও জোরালো হয়ে উঠবে।
যদিও বিজেপির বিধায়ক থেকে সাংসদের দাবীকে আমল দিতে নারাজ রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। তৃণমূল নেতা গৌতম দেব জানান, এর আগে দু'দুজন সাংসদ বিজেপিকে উপহার দিয়েছে পাহাড়। পরবর্তীতে তাদের দেখা মেলেনি। এবারে যিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন, তাকেও দেখা যায় না। আসলে বিজেপি অশান্তির রাজনীতি করছে। বাংলা ভাগ করতে চাইছে। সাধারন মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে। এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন হবে।