এক সময় এই বাজার ছিল প্রাণচঞ্চল। কেউ হাঁক দিতেন, “খাঁটি দুধ, এক ফোঁটাও জল মেশানো নয়!” কালের স্রোতে বদলেছে অনেক কিছু—শহর, চাহিদা, জীবনযাত্রা। আজ প্যাকেটজাত দুধ, হাই-টেক প্রসেসিং আর অনলাইন ডেলিভারির যুগে দাঁড়িয়ে, হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র ধরে রেখেছেন এই পুরনো ব্যবসা। তিন প্রজন্ম ধরে যাঁদের সংসার চলে এসেছে দুধ বিক্রি করেই, তাঁরাই আজও দাঁড়িয়ে থাকেন ছোট ছোট হাঁড়ি আর দুধের বালতি নিয়ে। প্রতিদিন বিকেলে শুরু হয় দুধহাটির ব্যস্ততা। স্থানীয় মিষ্টির দোকানদার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, খাঁটি দুধের খোঁজে ভিড় করেন এখানে। দর কষাকষি চলে, কেউ গন্ধ শুঁকে বোঝেন দুধের গুণমান, কেউ আবার পুরনো বিশ্বাসেই ভরসা রাখেন। তবে হাটের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত বিক্রেতারা। ক্রেতা কমছে, তরুণ প্রজন্ম ব্যবসা নিতে চাইছে না।
advertisement
“এই হাট তো শুধু দুধ কেনাবেচার জায়গা নয়,” বললেন ষাটোর্ধ্ব বিক্রেতা প্রভাতবাবু। হারিয়ে যেতে বসেছে এক সময়ের প্রাণবন্ত দুধহাটি। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে হয়তো আর কিছু বছর পরেই গল্প হয়ে থাকবে জলপাইগুড়ির এই প্রাচীন হাট।