জানা গেছে রায়গঞ্জ থানার বাজিতপুরের বাসিন্দা টিঙ্কু দাস প্রতিবেশী চাঁদ মনি দাসকে মাস ছয়েক আগে বিয়ে করে। টিঙ্কু নববধূকে বাড়িতে না এনে ভাড়া বাড়িতে উঠেছিল।টিঙ্কু রারিয়া বি এড কলেজের আংশিক সময়ের কর্মি। সে কাজের যাবার নাম অন্যদিনের মত বাড়িতে এসে স্নান খাওয়া দাওয়া করে কাজে চলে যায়।নববধূর জন্য নূনতম খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করছে না। দিনের পর দিন এভাবে চলার পর গতকাল চাঁদ মনি শ্বশুড় বাড়িতে গিয়ে স্বামীর খোঁজ করেও তার হদিশ পায় নি। এমনকি চাঁদ মনিকে শ্বশুড় বাড়িতে ঢুকতেই দেয় নি টিঙ্কুর পরিবার।
advertisement
মঙ্গলবার সকালে চাঁদমনি প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে শ্বশুড় বাড়িতে ঢুকতে গেলে টিঙ্কুর পরিবার তাকে বাধা দেয়। শুরু দুই পক্ষের হাতাহাতি। টিঙ্কুর পরিবার বাড়ির গেট বন্ধ করে দিলে প্রতিবেশী এবং চাঁদ মনির পরিবার ছেলের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা বলে অভিযোগ।মেয়ের পরিবার তাদের মেরে ফেললেও মেয়ে কোনভাবে বাড়িতে তুলবেন না সাফ জানিয়ে দিয়েছেন টিঙ্কুর মা কনিকা দাস। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ায় রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছায়। নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীটিঙ্কুর পরিবারকে মেয়েকে বাড়িতে ঢুকতে দেবে না এব্যাপারে অনড় থাকলেও চাঁদমনিও শ্বশুড়বাড়িতে যেতে অনড়।বাড়ির মালিক মোহন কুন্ডু জানান, বিয়ের একদিন আগে টিঙ্কুর কাকাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। টিঙ্কুর কাকার সঙ্গে তার পূর্ব-পরিচিত। টিঙ্কুর কাকার কথাতেই তিনি বাড়ি ভাড়া দেন।তার উদ্যোগেই তাদের কালীমন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ের ব্যাবস্থা করা হয়।দু একদিন ভাল ভাবে থাকার পর টিঙ্কুর আসল চরিত্র বেরিয়ে আসে। টিঙ্কু সকাল আটটায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত। রাত্রিতে ফোন করে বাড়িতে আনতে হয়। মেয়ের খাওয়ার সামগ্রীও ঠিকমত দেওয়া হত না। তার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে খাদ্য সামগ্রী এনে দেওয়া হত। কোনদিন তৈরী খাওয়ায় এনে দেওয়া হত। সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত মেয়ে একাই বাড়িতে থাকত। টিঙ্কুকে ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল নব বধূকে বাড়িতে একা রাখাটা ঠিক নয়।তাদের কথাকে কর্নপাত করে নি।তবুও তাকে একা রেখেই চলে যাচ্ছে টিঙ্কু। মোহনবাবু অভিযোগ, মেয়ের ক্ষতি করতেই সে বিয়ে করেছিল। আবার টিঙ্কু বিয়ে করতে চাইছে।
একটি মেয়ের জীবন যে ক্ষতি করতে চায় তার দৃষ্টান্ত শাস্তি হওয়া উচিত। পুলিশ টিঙ্কুর পরিবারকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছে। পুলিশি পদক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
Uttam Paul
