পর্যটকদের কাছে বরাবরই আকর্ষণের মিরিক লেক। কুয়াশার চাদর সরিয়ে ঘোড়ার পিঠে চেপে লেকের চারপাশ ঘুরে বেড়ানো। সঙ্গে বোটিংয়ের সুবন্দোবস্ততো আছেই। এবারে বোটিংয়ের ফাঁকেই লেকে কেনাকাটা সারতে পারবেন দেশ বিদেশের পর্যটকেরা। পাহাড়ের বাসিন্দাদের হাতে তৈরী নানান উপকরণ মিলবে এই ভাসমান বাজারে। এতে আয়ও বাড়বে পাহাড়ের হস্ত শিল্পীদের। তাদের তৈরী নানা ধরনের পুতুল, হাতে তৈরী উলের সোয়েটার, টুপি, হাত মোজা, ঘর সাজানোর হরেক উপকরণ যেমন পাওয়া যাবে ভাসমান বাজারে। তেমন মিলবে দার্জিলিংয়ের বিশ্বখ্যাত সুগন্ধী চা, মধু, কমলালেবুও। এতে পর্যটকদের সংখ্যা আরো বাড়বে এমনটাই আশা পুরসভার।
advertisement
এতদিন দার্জিলিং বেড়াতে যাওয়ার সময়ে বা ফেরার পথে মিরিক লেক ঘুরে আসতেন পর্যটকেরা। মিরিক পুরসভার চেয়ারম্যান লালবাহাদুর রাই জানান, 'মিরিককে আর পর্যটনের ট্রানজিট রুট নয়, পুরোপুরি পর্যটনের মানচিত্রে তুলে ধরাই লক্ষ্য। সেজন্য কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে মিরিক লেকের সৌন্দার্যয়ন করার কাজ জোরকদমে চলছে। বাহারী ফুলের বাগান তৈরী করা হয়েছে। রাজ্য পর্যটন দপ্তর, মিরিক পুরসভা এবং জিটিএ যৌথভাবে উন্নয়নের কাজ করছে। এই ফ্লোটিং মার্কেট পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় হবে। লেকের পাশেই এই মূহূর্তে প্রচুর দোকান রয়েছে। সেখানেও কেনাকাটার ধুম লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু লেকে বোটিংয়ের ফাঁকেই মার্কেটিংয়ের সুযোগ কি আর কেউ হাতছাড়া করতে চায়!
নয়া এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে র্যটন ব্যবসায়ীরা। হিমালয়ান হসপিটালিটি এণ্ড ট্যুরিজম ডেভলোপমেবট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, বিদেশের আদলে এবারে মিরিকেও চালু হচ্ছে। এটা ভালো দিক। মিরিককেও এবারে প্যাকেজের আওতায় আনা যাবে। মিরিককে ঘিরে পর্যটন ব্যবসাও আরো বাড়বে। খুশী স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে হস্ত শিল্পীরাও।
