করোনার জেরে শুক্রবারই বসন্ত উৎসব হবে না বলে ঘোষণা করে শান্তিনিকেতন কর্তৃপক্ষ। এদিন দুপুরে জরুরি বৈঠক ডাকে বসুন্ধরার বসন্ত উৎসবের উদ্যোক্তারা। সেখানেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছয় তাঁরা। উৎসবের আয়োজন ছিল প্রায় শেষের মুখে। সব প্রস্তুতিই প্রায় হয়ে গিয়েছিল। অনুষ্ঠানের কার্ড বিলিও শেষ। এমনকি মঞ্চ তৈরির কাজও হয়ে গিয়েছিল। অপেক্ষা ছিল শুধু রাঙিয়ে তোলার সময়ের।
advertisement
প্রায় মাস খানেক ধরে নাচ গানের শিল্পীদের মহড়া চলছিল। কিন্তু রাজ্য এবং কেন্দ্রের নির্দেশ জনসমাগম এড়াতে হবে। আর শিলিগুড়ির বসুন্ধরায় দিন দিন বাড়ছিল ভিড়। উত্তরবঙ্গের শান্তিনিকেতন যে। এবারেও উপচে পড়া ভিড়ের প্রহর গুনছিল উদ্যোক্তারা। কিন্তু জনসমাগম এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। প্রশাসনিক কোনও নির্দেশ অবশ্য তাঁরা পাননি। কিন্তু যেভাবে দেশে করোনা ছড়াচ্ছে। তা যথেষ্টই উদ্বেগের। ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী সিকিম এবং ভুটানে বিদেশী পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই আর ঝুঁকি নেয়নি উদ্যোক্তারা। আর তাই পিছিয়ে আসা। জানালেন বসুন্ধরার কর্ণধার সুজিত রাহা। তিনি এও জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পঁচিশে বৈশাখ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হতে পারে। কিন্তু বসন্ত উৎসব এবারের মতো স্থগিত থাকছে। সমাজকে এক বার্তা দিতেই এগিয়ে আসা। এতে শিল্পীরা বিষন্ন। রিহার্সাল চলছিল। আর এক দিন বাদেই ছিল পারফর্মেন্স তুলে ধরা। তার আগে বসন্ত উৎসবে "না"। এতেই মন খারাপ শিল্পীদের। এক নৃত্য শিল্পী শর্বরী দত্ত জানান, ‘‘মন খারাপ লাগছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কথাও ভাবতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তীতে আবারও উৎসব হবে।’’
Partha Sarkar
