জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ধান ক্ষেতের মধ্যে হাতির দেহ দেখতে পায়। এরপর খবর দেওয়া হয় বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াড ও মোরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীদের। বনদপ্তর সূত্রের খবর, মৃত হাতিটি পুরুষ সাব অ্যাডাল্ট। এদিকে মৃত হাতির সংবাদ চাউর হতেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমাতে শুরু করে এলাকার বাসিন্দারা।
তদন্তে বনদপ্তরের কর্মীরাও।কিভাবে হাতির মৃত্যু হয়ছে পরিষ্কার নয়।তবে মনে করা হচ্ছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যু হতে পারে।ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন মাঝেমধ্যেই ওই এলাকায় খাবারের খোঁজে ঢুকে পরে হাতির দল। মনে করা হচ্ছে ধান খাওয়ার জন্যই হাতিটি ওই এলাকায় চলে আসে।
advertisement
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে মোরাঘাট রেঞ্জের গাঁড়কুটা এলাকাতেও একটি হাতির দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছিল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। তার প্রমান ও মিলেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। বারবার এভাবে হাতির মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন পরিবেশপ্রেমীরা।
আরও পড়ুন-সপ্তাহান্তে ফের আবহাওয়ার রদবদল? কলকাতায় নিম্নমুখী পারদ! দেখুন আগামী কয়দিনের পূর্বাভাস
ঘটনা প্রসঙ্গে,জলপাইগুড়ি বন্যপ্রান বিভাগের এ ডি এফ ও জন্মেজয় পাল বলেন, "এদিন সকালে একটি ধান খেত থেকে হাতির দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে হাতির দেহ খতিয়ে দেখে মনে হচ্ছে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। হাতিটি মাকনা হাতি। বয়স১৫-২০ বছর। এটি সাব-অ্যাডাল্ট পুরুষ হাতি ছিল। "
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় ভোট প্রচারের শেষ সপ্তাহে ঘরে ঘরে তৃণমূলের তারকারা
পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ডুয়ার্স নেচার এন্ড স্নেক লাভার্স অর্গানাইজেশনের সদস্য শুভাশিস ঘোষ বলেন, "খাবারের খোঁজে বার বার লোকালয়ে হানা দিচ্ছে হাতির দল। আর সেই হাতির দল যখন চাষের ক্ষেতে খাবার খেতে যাচ্ছে তখন কৃষকদের লাগানো বেআইনি বিদ্যুতের সংযোগ এর সংস্পর্শে এসে মৃত্যু হচ্ছে হাতির। আমরা কড়া পদক্ষেপ দাবি করছি। পাশাপাশি বনদপ্তরের কাছে দাবি করছি যাতে জঙ্গলের ভিতরে তৃণভোজী বন্যপ্রাণীদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয় ফলের গাছ লাগানো হয়।"
- SEKH ROCKY CHWDHURY