জলপাইগুড়ি শহরের সঙ্গেই লাগোয়া বিডিও অফিসের সামনে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়াল হাতিদুটি। এমনকী কোভিড হাসপাতালের ঢুকে পড়ে তারা। একইসঙ্গে বিএলআরও অফিসের লোহার গেটও ভেঙে ফেলে হাতিদুটি ৷ দ্রুত খবর দেওয়া হয় বনদফতরে ৷ খবর পেয়ে বন কর্মীরা চলে আসেন হাসপাতাল চত্বরে৷ হাতির তাণ্ডবের জেরে ওই এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। যদিও তাতেও সাধারণ মানুষের আগ্রহ আটকানো যাচ্ছে না। প্রচুর মানুষ ভিড় করেছেন হাতি দুটিকে দেখতে। ইতিমধ্যেই তাদের জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা চলছে৷
advertisement
হাতি তাড়াতে গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের এডিএফও রেহা গঙ্গোপাধ্যায়ও হাজির হয়েছেন। তবে বন দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই এলাকায় সাধারণত হাতি আসে না। কিন্তু রবিবার রাতে এমন ঘটনা কেন ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে হাতিদুটি এখনও না আসতে পারায় বড় ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: জাতীয় সড়কের উপর সাংবাদিকের পোড়া দেহ! ভয়ংকর কাণ্ডে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়
আরও পড়ুন: ভুয়ো কল-লেটার, শিক্ষক নিয়োগে সক্রিয় বড় জালিয়াত চক্র! নেপথ্যে কারা?
তবে, বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে অবস্থিত কোভিড হাসপাতালের ভিতরে হাতিদুটি ঢুকে পড়ায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেরই দাবি, করলা নদী পেরিয়ে হাতিদুটি কোভিড হাসপাতালের পিছনের পাঁচিল ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়ে তারা চলে আসে আনন্দচন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে। এমনকী রীতিমতো রাগে ফুঁসতে-ফুঁসতে বিএলআরও অফিসের লোহার গেটও ভেঙে ফেলে তারা। এভাবে শহরের মধ্যে আগে কখনও হাতি ঢুকতে দেখেননি বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে।