মালদহের দরগা পাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল সাত্তার। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে মালদহ মেডিকেল কলেজের আউটডোরে এদিন চিকিৎসা করাতে আসেন। পাঞ্জাবির পকেটে ছিল ঋণ পরিশোধ করার ১৫ হাজার ৩৫০ টাকা। এছাড়াও যাতায়াতের খরচ হিসাবে আলাদা করে আরও ৫৪০ টাকা নিয়ে এসেছিলেন। আব্দুল সাত্তারের অভিযোগ, তিনি প্রথমে মালদহ মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় তলায় ডাক্তার দেখান। এরপর তাঁকে লিফটে করে হাসপাতালের পাঁচতলায় যেতে বলা হয়। কথামতো লিফটে করে যাওয়ার সময়’ই ওই বৃদ্ধের পকেটমারি হয় বলে অভিযোগ। কেউ বা কারা তাঁর পাঞ্জাবির পকেট কেটে সমস্ত টাকা এবং মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের প্রতি অসামান্য অবদানের জন্য শিক্ষারত্ন গঙ্গারামপুরের স্যার
বিষয়টি টের পাওয়ামাত্র খোঁজাখুঁজি করেও লাভ হয়নি। এই ঘটনা জানাজানি হতেই গোটা হাসপাতাল চত্বর জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত আব্দুল সাত্তার ইংরেজবাজার থানায় এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: নল রাজার গড়ের নাম বদল! এখন থেকে কোচ মহারাজ নরনারায়ণের নামে পরিচিত হবে
এদিকে মালদহ মেডিকেল কলেজে বারবার চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা। মালদহ মেডিকেল কলেজ চত্বরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এই ধরনের চুরির ঘটনা রুখতে মাইকিং এবং বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেছেন মালদহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়।