উত্তরবঙ্গে অতিভারী বৃষ্টি আর এরসঙ্গে স্থানীয়ভাবে ভারীবৃষ্টির ফলেই সেপ্টেম্বরের শেষেও হু হু করে বাড়ছে মহানন্দা নদীর জলস্তর। মাস দেড়েক আগেও একই ভাবে মহানন্দার জলস্তর বাড়ায় অনেকে বিপদে পড়েছিলেন। মানুষজনকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল ত্রান শিবিরে। কিন্তু সেই সময় ছিল ভরা বর্ষা। এরপর নদীতে জলস্তর কমে যাওয়ায় সকলেই ত্রান শিবির ছেড়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। মাঝে মাসখানেক ভালই কাটছিল। কিন্তু, এরইমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় মহানন্দায় ব্যাপক জলস্তর বৃদ্ধি। সংসার ফের লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। জলে ভেসেছে ইংরেজবাজারের বালুরচর, মিশনঘাট, জোড়াট্যাঙ্কি প্রভৃতি এলাকা। এরফলে একইবছরে দ্বিতীয়বারের জন্য ঘর ছাড়া হচ্ছেন মানুষজন। এমন ঘটনা অতীতে কখনও ঘটেনি বলছেন স্থানীয়রা। শহরের বালুরচর এলাকায় জলবন্দীদের উদ্ধার ও জিনিসপত্র সরানোর কাজ চলছে নৌকোয়। এই পরিস্থিতিতে ফের ঘরের জিনিসপত্র বের করে এনে উঠতে হচ্ছে ত্রান শিবিরে। অনেকে ত্রান শিবির না পেয়ে নিজেরাই ফাঁকা মাঠে তাঁবু গেড়েছেন। এমনকী ত্রান শিবিরেই চলছে কলেজ পড়ুয়ার পরীক্ষা প্রস্তুতি। প্রায় একইঅবস্থা মালদহের দ্বিতীয় পুরশহর পুরাতন মালদহের । মহানন্দা নদীর জলস্তর বৃদ্ধিতে পুরাতন মালদহের ৮ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক এলাকা জলমগ্ন। জল ঢুকেছে মির্জাপুর, হালদার পাড়া প্রভৃতি এলাকায়। এখানেও ক্ষতিগ্রস্থ ২০০-র বেশি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্তরা আশ্রয় নিয়েছেন ওসমানিয়া হাইমাদ্রাসা এবং বাঁচামারী প্রাথমিক স্কুলে। জলবন্দি এলাকা ঘুরে দেখে ক্ষতিগ্রস্তদের সবধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন পুরাতন মালদা পুরসভার প্রশাসক কার্তিক ঘোষ।
advertisement
সেবক দেবশর্মা