স্থানীয় বাসিন্দা নীপেন রাভা জানান, বহু প্রাচীন এক বট গাছের নীচে বহু দিন ধরেই হয়ে আসছে রাভা জনগোষ্ঠীর লৌকিক দেবতা বুড়াঠাকুর এর পুজো। কালক্রমে এলাকার সমস্ত জন জাতির মানুষের সমাগম হয় দোলের দিন এই পুজোয়। মেতে ওঠেন এলাকার সমস্ত জনগোষ্ঠীর মানুষ। এদিনের ওই পুজোকে ঘিরে উৎসাহে মেতে উঠতে দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
advertisement
আরও পড়ুন- আজ কুলদেবতারা দোল খেলেন! আগামিকাল রঙের উৎসবে মাতবে শহরের মানুষ
জানা গিয়েছে, প্রতিবছর দোল পূর্ণিমায় (Dol Purnima) শ্রী শ্রী বুড়াঠাকুর ধামে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এবছরও নিয়ম-নিষ্ঠা সহকারে পুজো করা হয়েছে। ওই পুজোর আনন্দে শামিল হতে দেখা গিয়েছে এলাকার ৮ থেকে ৮০ প্রত্যেককেই। পুজো শেষে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রসাদ বিলি করা হয়। জানা যায়, রাভারা প্রকৃতির উপাসক। রাভাদের মধ্যে প্রথাগত ভাবে মূর্তি পূজোর প্রচলন নেই। তবে বর্তমানে তারা মূল ধর্ম পালনের সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু ধর্মের কিছু আচার আচরণ ও পালন করেন।
আরও পড়ুন- সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থা বর্ধমান রাজবাড়ির! হারাতে বসেছে পুরনো ইতিহাস
রাভাদের প্রধান দেবতা হলেন "ঋষি" বা "মহাকাল"। সমস্ত সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এঁর পুজো অতি আবশ্যক। এছাড়া রাভাদের আরও দুই দেবী হলেন 'রঙ্গতুক' ও 'বসেক'। এঁদের ঋষি বা মহাকালের কন্যা বলে মনে করা হয়। 'রঙ্গতুক' ও 'বসেক' হলেন পারিবারিক ধন সম্পত্তির দেবী। দোল উৎসবে বুড়াঠাকুর পুজোকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতন।
দীপেন্দ্র নাথ লাহিড়ী
