তাই শিলিগুড়িতে এখন "মরশুমি ফাস্ট ফুড" মানেই ভাপা পিঠে। গ্রামীণ এই খাবারের এখন কদর বাড়ছে শহরাঞ্চলে। মূলত শহরঘেঁষা ডাবগ্রাম, ফুলবাড়ি, আমবাড়ি থেকে পিঠের পসরা নিয়ে হাজির হন মহিলারা। শহরে যাদের পরিচিতি "পিঠে মাসী" হিসেবে। আজ তারাই কনকনে ঠাণ্ডায় উনুনের সামনে বসে তৈরী করছেন ভাপা পিঠে, সঙ্গে আবার পাটিসাপটাও!
বাড়িতে ঢেকিতে আতপ চাল গুঁড়ো করা হয়। তারপর শীতের হালকা রোদে চালের গুঁড়ো শুকিয়ে নেওয়ার পালা। সেই চালের গুঁড়োতে অল্প নুন, গুড় আর নারকেলের গুঁড়ো মিশিয়ে হাঁড়ির মাথায় সরাতে চাপিয়ে নেওয়া। তাতেই তৈরী হচ্ছে ভাপা পিঠে। ভাপে তৈরী হওয়ায় নাম ভাপা পিঠে। খড়ির উনুনে আঁচ দিয়ে শুরু হিয় পিঠে তৈরী। ক্রেতারা এসে অর্ডার দিলেই হাতে হাতে মিলছে গরমা-গরম ভাপা পিঠে। সব বয়সীদের কাছেই এখন অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার এই পিঠে।
advertisement
শিলিগুড়ির প্রায় প্রতিটি পাড়াতেই এখন মিলছে এই ভাপা পিঠে। যা বছর খানেক আগেও সব পাড়াতে মিলতো না। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ কেজি চালের গুঁড়ো দিয়ে এক-এক জন বিক্রেতা পিঠে বিক্রি করছেন। দামও হাতের মুঠোয়। প্রতি পিস ৫ টাকা। আর তাই শীতের মরসুমে চাইনিজ বা দক্ষিণী ফাস্ট ফুড নয়, শিলিগুড়ির বাসিন্দারা ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের এই পিঠে-পুলির দোকানে। তাদের কথায় গোটা বছরের এই সময়টা ভাপা পিঠের জন্যই অপেক্ষা। কবে মিলবে! কবে মিলবে! আর তাই শীত পড়তেই শহরবাসীর একটা বড় অংশ ভিড় জমায় "পিঠে মাসীর" ফুড স্টলে। এখানেও ভয় ধরিয়েছে করোনা! গতবারের তুলনায় অনেকটাই কম বিক্রিবাট্টা হচ্ছে বলে দাবী এক বিক্রেতার।
Partha Pratim Sarkar
