বর্ষা শুরু হলেও আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে দেখা নেই বৃষ্টির। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকেরা। বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র রোদের কারণে জেলাজুড়ে অনেক এলাকায় এখনও কালো নুনিয়া ধানের চারা রোপণ করতে পারেনি কৃষকেরা। আর যারা রোপণ করেছেন, বৃষ্টির অভাবে জমি শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধানের চারা। ধানের পাশাপাশি, চাষের জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে করলা, লঙ্কা, কুমড়ো সহ অন্যান্য সবজিও।
advertisement
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে বন্যা, আর উত্তরবঙ্গে…! কঠিন সমস্যায় চাষিরা, রাগে ছাগলদের খাওয়াচ্ছেন ধানের চারা
বিগত কয়েকবছরে এরূপ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়নি বলে দাবি কৃষকদের। কারণ সে বছরগুলিতে বৃষ্টি সঠিক সময়ে হত। বর্তমানে ধান রোপণের সময় থাকলেও আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের লতাবাড়ি, সাতালি, মেন্দাবাড়ির মত কৃষিপ্রবণ এলাকায় খালি পড়ে রয়েছে জমি। আর যেখানে ধান রোপণ করা হয়েছে, সেখানে জলের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের চারা। জল সেচের ব্যবস্থা থাকলে এমনটা হত না বলে দাবি কৃষকদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কালচিনি ব্লকের পুর্ব সাতালির এক কৃষক ঘনশ্যাম ছেত্রী জানান, “পূর্বে এলাকায় জল সেচের ব্যবস্থা ছিল। আর সেই জল সেচের মাধ্যমেই উপকৃত হতেন লতাবাড়ি, সাতালি ও মেন্দাবাড়ি এলাকার কয়েক হাজার কৃষক। তবে তিন দশক আগে গত ১৯৯৩ সালে বন্যায় ভেঙে গিয়েছিল নদীবাঁধ। এরপর থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে জল সেচের ব্যবস্থা।” কৃষকদের অভিযোগ, এ নিয়ে একাধিকবার প্ৰশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও, মেলেনি কোনও সুরাহা। বর্তমানে সেই জল সেচ ব্যবস্থা চালু থাকলে হয়ত অনেক ফসলকেই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানো যেত বলে দাবি পূর্ব সাতালি এলাকার কৃষকদের।
Annanya Dey