শিলিগুড়ি: নয়া করোনেশন সেতু ঘিরে তৎপরতা তুঙ্গে। MORTH সূত্রে খবর DPR তৈরি হয়েছে। প্রায় ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্প। রেলের জমি মিলবে এই নয়া সেতু বানাতে। সেবক বাজারের আগে থেকে এলেনবারি অবধি এটি হবে। সাংসদ রাজু বিস্তা জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসেই হবে টেন্ডার প্রক্রিয়া।
advertisement
ইতিমধ্যে কেন্দ্রের গত ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষের জাতীয় পরিকাঠামোগত প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেবকে তিস্তায় বিকল্প সেতু। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিগোষ্ঠীর সম্মতিতে রেলে জমি হস্তান্তর করে সেতুর বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট বা ডিপিআর তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ১.৩৪ কিলোমিটার নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা চূড়ান্ত। সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের জন্য রেলের জমি হস্তান্তরে মন্ত্রিগোষ্ঠী সম্মতি দিয়েছে। এখন বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট অনুমোদনের পর টাকার অনুমোদন করা হবে।
১৯৩৭ সালে কিং জর্জ এবং রানি এলিজাবেথের ‘করোনেশন’কে সামনে রেখে সেবকে সেতুর নাম হয় করোনেশন সেতু। ১৯৪১ সালে সেই সময় প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচে সেতুর কাজ হয়। তিস্তার মতো খরস্রোতা নদীর উপর নকশার দিক থেকে এই সেতু গোটা বিশ্বে সমাদৃত। সেতুর দুই পাশে বাঘের মুর্তি থাকায় একে বাঘপুলও বলা হয়। ২০১১ সালে পূর্ত দফতর সেতুতে ফাটল লক্ষ করে।
ঝুঁকি নিয়ে মেরামতের পর কয়েক বছর আগে সেতুটি দিয়ে ১০ টনের উপর গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। ডুয়ার্সের সঙ্গে শিলিগুড়ি, কালিম্পং, সিকিমের সংযোগ রক্ষাকারী সেতুর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ ছড়ায়। ফলে সেবকে দ্বিতীয় সেতুর দাবি ওঠে। নতুন করে তিস্তায় আর একটি সেতু হলে ডুয়ার্সের দূরত্ব কমবে। সেবক বাজারের দিক সেতুটি ও পারে এলেনবাড়ি চা বাগান এলাকায় দিকে যাবে। এতে ডুয়ার্সের সঙ্গে শিলিগুড়ির দূরত্বও কমবে।
