জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির বানারহাটে সভা করতে গিয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন সায়ন্তন বসু৷ তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'আমি সায়ন্তন বসু বলে যাচ্ছি, খেলা বেশি খেলতে যেও না শীতলকুচি খেলে দেব৷' শীতলকুচি নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সংযুক্ত মোর্চা৷ তার পরেও এ ধরনের বেপরোয়া মন্তব্য করলেন সায়ন্তন৷
advertisement
আর এক বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাও অবশ্য শীতলকুচির প্রসঙ্গ তুলে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন{ তাঁর মতে, শীতলকুচিতে ৪ জনের বদলে ৮ জনকে মারা উচিত ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর৷
গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণের দিন কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চার জনের৷ যে ঘটনা নিয়ে জোর চাপানউতোর শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্য়ে৷
শীতলকুচির প্রসঙ্গ টেনে এনে সায়ন্ত বসুর এ দিনের মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সব রাজনৈতিক দলের নেতারাই৷ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'মানুষ সব দেখছেন৷ এরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দুকের বুলেট দিয়েই বাংলা শাসন করতে চায়৷ এর জবাব মানুষ ভোট বাক্সে দেবে৷'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'দিলীপ ঘোষ থেকে সায়ন্তন বসু- সবার একই কণ্ঠস্বর, ফ্যাসিস্টদের কণ্ঠস্বর৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী বলেছিল তারা আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছে৷ সেই বক্তব্য তার মানে বাতিল করে দিচ্ছেন সায়ন্তন বসুরা৷ বলছেন ওটা একটা খেলা৷ এটা গণতন্ত্র, সংবিধানের বিরোধী৷' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'বাংলার মানুষ সিপিএম- বিজেপি-কে ক্ষমা করবে না৷'
বিতর্কিত মন্তব্য করে অবশ্য বার বারই শিরোনামে এসেছেন সায়ন্তন বসু৷ দলের মধ্যেও সতর্ক করা হয়েছে তাঁকে, তার পরেও সায়ন্তন আছেন সায়ন্তনেই৷