TRENDING:

Train Accident: বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার তদন্তে দিনভর আজ নজরে ট্রেনের ইঞ্জিন

Last Updated:

Bikaner-Guwahati Express derailment: আজ, শনিবার থেকেই তদন্ত শুরু করছে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আবীর ঘোষাল, দোমোহনী: দুর্ঘটনার তদন্তে সকলের নজর এখন ইঞ্জিনের দিকেই। ট্র‍্যাকশন মোটর ভেঙে পড়ার কথা বলছেন রেলওয়ে আধিকারিকদের একাংশ। খোদ রেল মন্ত্রী বলছেন, লোকোমোটিভে ছিল যান্ত্রিক ত্রুটি। আসলে সমস্যা কোথায় ছিল তা জানার জন্যেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের ইঞ্জিনের ফরেন্সিক পরীক্ষা হতে পারে (Bikaner-Guwahati Express derailment)।
নিজস্ব চিত্র
নিজস্ব চিত্র
advertisement

প্রসঙ্গত, আজ শনিবার থেকেই তদন্ত শুরু করবেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে যে ইঞ্জিন ছিল, ২০১৫ সালে সেই ধরনের ‘ওয়াপ-ফোর’ ইঞ্জিন তৈরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে এই ইঞ্জিন ভারতীয় রেলে দিব্যি ব্যবহার হচ্ছে। কী করে এমন ঘটল, তা নিয়ে রেল বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিকানের এক্সপ্রেস টানছিল  ‘ওয়াপ-ফোর’ বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন যার নম্বর— ২২,৩৭৫। এই ধরনের ইঞ্জিনের তলার দিকে লাগানো থাকে চারটি করে ট্র্যাকশন মোটর।

advertisement

আরও পড়ুন-প্রচুর মদ খাওয়ার পর নিলেন ভায়াগ্রা, যৌন মিলনের সময় এরপর ঘটল সাংঘাতিক কাণ্ড !

এই ট্র্যাকশন মোটর থেকে শক্তি পৌঁছয় ইঞ্জিনে। সেই শক্তিতে ভর করে কামরা নিয়ে ছোটে ট্রেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইঞ্জিনের তলায় লাগানো চারটি ট্র্যাকশন মোটরের একটি সম্ভবত বিকল হয়ে খুলে পড়েছিল। ওয়াপ ফোর ইঞ্জিনের ক্যাব-২ এর নিচের অংশে যে ট্র‍্যাকশন মোটর ছিল সেটিই খুলে পড়ে যায়। রেলের ইঞ্জিন ও রেললাইনের মাঝে তা আটকে যায়। যে জায়গায় দূর্ঘটনা ঘটেছে তার প্রায় এক কিলোমিটার দূরে রয়েছে একটি সেতু। সেটা পেরোলেই ছিল দোমোহনী স্টেশন। এই স্টেশন পেরিয়েই ট্রেন আসে।

advertisement

আরও পড়ুন-পার্লারে মাসাজ করিয়ে বিপজ্জনক রোগে আক্রান্ত স্বামী, জেনে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী!

এলাকায় যা নজরে আসে তা হল প্রায় ৭০০ মিটার এলাকা জুড়ে স্লিপারের মাঝের অংশে একই ধরণের ফাটল নজরে এসেছে। ফলে অনেকেরই ধারণা, মোটর আগে খুলে যায়। সেই অবস্থাতেই ট্রেন ঘষটাতে ঘষটাতে এগোতে দেখে। আর সেই অবস্থাতেই এমারজেন্সি ব্রেক কষেন চালক। তবে লোকো পাইলট ও সহকারি লোকো পাইলট বলছেন, ইঞ্জিনের কোনও ত্রুটি নেই। ফলে দুর্ঘটনার পরে ট্র‍্যাকশন মোটর খুলে পড়েছে না খুলে পড়ার জন্যেই দুর্ঘটনা, তার সন্ধান করবে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

দুর্ঘটনার সময় বিকানের এক্সপ্রেস চলেছিল অন্তত ৯৫ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে। চালক নিজেই তাই জানিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, প্রবল গতিতে থাকায় খুলে যাওয়া ট্র্যাকশন মোটর ইঞ্জিন ও রেললাইনের ফিশপ্লেটের মাঝে আটকে ঘষতে ঘষতে চলে কিছুটা। এরই মধ্যে গতির জেরে ইঞ্জিনের শেষ দিকের চাকার (হুইল অ্যাসেম্বলি বা একসঙ্গে ছ’টি চাকা) সঙ্গে ধাক্কা লেগে চাকা-সমেত ট্র্যাকশন মোটর ছিটকে বেরিয়ে আসতে চায় ইঞ্জিনের তলা থেকে। বিপদ বুঝে চালক আপৎকালীন ব্রেক কষলেও লাভ হয়নি। গতির অভিঘাতে ইঞ্জিনের পিছনের কামরাগুলো একে একে লাইনচ্যুত হতে শুরু করে। গতকাল, শুক্রবার বিকেলে সিআরএস ঘটনাস্থল ঘুরে গিয়েছেন। আজ, শনিবার থেকে তিনি শুরু করবেন তদন্ত। আর সেই তদন্তে ট্র‍্যাকশন মোটর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Train Accident: বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার তদন্তে দিনভর আজ নজরে ট্রেনের ইঞ্জিন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল