স্থানীয় কৃষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এইরকমভাবে পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী বছরগুলিতেও চাষ বন্ধ হয়ে যাবে জলের অভাবে। মূলত বালুরঘাট শহরের চকভবানী এলাকায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্বল্প উচ্চতার একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। আর সেই কংক্রিটের বাঁধের মাধ্যমে জল ধরে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে আপার স্ট্রিমে। এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, এই বাঁধ নির্মাণের পর থেকেই আত্রেয়ী নদীর জলের স্রোত একদিকে যেমন কমে গেছে, পাশাপাশি কমেছে জলস্তর। যার জন্য কৃষিকাজে প্রয়োজনীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রার্থীকে সামনে পেয়েই বিক্ষোভ! কাজ হল ম্যাজিকের মত, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জলসঙ্কটের সমাধান
যে কারণে কৃষকদের মধ্যে থেকে দাবি উঠেছে নতুন আরেকটি বাঁধ নির্মাণ করা হোক ফতেপুর এলাকায়। এমনকি জল পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকার ফলে বালুরঘাট শহরের একাধিক এলাকায় পুরসভার পক্ষ থেকে যে জল সরবরাহ করা হয়ে থাকে তাতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। কৃষকদের দাবি, বাঁধ খুলে দেওয়া হোক কিংবা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে বেশ কিছু ভেতরে ফতেপুর এলাকায় আরও একটি স্বল্প উচ্চতার বাঁধ নির্মাণ করা হোক। স্বল্প উচ্চতার এই বাঁধ খুব শীঘ্রই নির্মাণ করা না হলে বহু কৃষক চাষবাস ছেড়ে দিতে বাধ্য হবেন।
বর্তমানে বাঁধের সামনের অংশে প্রচুর জল থাকলেও বাঁধের পরবর্তী অংশে জল তেমন নেই বললেই চলে। আত্রেয়ী নদী ও তার সংলগ্ন বিভিন্ন খাড়ির জল দিয়ে সারাবছর চাষবাস হয়, কিন্তু যতদিন যাচ্ছে জলের পরিমাণ কমছে। এর ফলে এলাকার কৃষকরা রীতিমত আতঙ্কে ভুগছেন।
সুস্মিতা গোস্বামী