দলটি তারঘেরা বনাঞ্চল অভিমুখে ছিল। বন্যপ্রাণ স্কোয়াডের কর্মীরা হাতির দলটিকে বনে পাঠানোর চেষ্টা করছিল। পরে হাতির দলটি কুমলাই নদীর সেতু লাগোয়া এলাকায় আটকে পড়ে। স্থানীয় পরিবেশ প্রেমী রমেশ মাহালী বলেন, ‘হাতির দলকে কখনই উত্যক্ত করা উচিত নয়। সংঘাতের ঘটনা ঘটতে পারে। দলটিতে শাবক থাকার জন্য গতি কিছুটা কম ছিল।’ হাতির দল দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীরা ছুটে যান সেখানে। অনেকেই তাদের উত্যক্ত করছিল বলে অভিযোগ। মোবাইলে ছবি ও ভিডিও তোলারও হিড়িক পড়ে যায়।
advertisement
গ্রামবাসী ফজলুল আলম বলেন, ‘রাতে হাতির বড় দল এসেছিল। হাতির দল ধান খেয়ে ফেলছে। পাশাপাশি প্রচুর ধান নষ্টও হচ্ছে। এবার ধান চাষ কম হয়েছে। গ্রামবাসীদের সমস্যাও বাড়ছে। বন্যপ্রাণ বিভাগ এলাকায় টহল বাড়ালে সকলেই উপকৃত হবেন'। মালবাজার বন্যপ্রাণ স্কোয়াডের দীপেন সুব্বা বলেন, ‘আমরা এলাকায় পৌঁছে নজরদারির রেখেছি। বাসিন্দাদের বোঝানো হচ্ছে।' মাল থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
কিছুদিন আগেই মালবাজার মহকুমা এলাকার ক্রান্তি ব্লকের চেংমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় হাতির হানার খবর পাওয়া গিয়েছিল। গ্রামবাসীরা জানান, রাতে বেশ জোরে বৃষ্টি হচ্ছিল। তার মধ্যেই বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগের আপালচাঁদ বনাঞ্চল থেকে প্রায় ১০০টি হাতির একটি দল খাবারের খোঁজে ওই গ্রামে হানা দেয়। তাদের সঙ্গে শাবকও ছিল। রবিবারও একই ঘটনা ঘটে ওই এলাকায়।
আরও পড়ুন: চামড়ার কালো পোশাকে আরও মোহময়ী হিনা খান, ভাইরাল ফটোশ্যুট দেখুন...
রকি চৌধুরী