গতমাসেই ডুয়ার্সের বানারহাটে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যায় একটি হাতি। একমাসের মধ্যেই আবার একই ঘটনা। এবারও হাতি করিডরে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেল মা ও শাবক হাতি।
এই মুহূর্তে জলদাপাড়া থেকে গরুমারা যাতায়াত করছে প্রায় ১৫০ হাতি। কয়েকদিন আগে রেতির জঙ্গল থেকে বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে ঢুকে পড়ে কয়েকটি হাতি। তাদের মধ্যে কয়েকটি ডায়নার জঙ্গলে চলে যায় বৃহস্পতিবার। বাকি ছ’টি হাতি শুক্রবার সকালে ডায়নার জঙ্গলে যাওয়ার পথে রেললাইন পেরোচ্ছিল। তখনই মা ও শাবক হাতিকে ধাক্কা মারে শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারগামী ডিএমইউ প্যাসেঞ্জার। ঘটনাস্থলেই মারা যায় দু’টি হাতি।
advertisement
আরও পড়ুন
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর চাকরি ছাড়তেই কেরলের বেকার যুবকের ভাগ্যে জুটল ১৩ কোটি টাকা!
হাতি দুটির মৃতদেহ ঘণ্টা দুয়েক রেললাইনে পড়ে থাকার পর ঘটনাস্থলে যায় আরপিএফ ও জিআরপি। হাতিদু’টির দেহ না তুলেই ট্রেন চলাচল শুরু করে দেওয়া হয়। প্রতিবাদে স্থানীয়রা রেল অবরোধ করেন। আটকে পড়ে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেনকে ফোন করে ট্রেনচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ডিআরএম। এরপরই অবরোধ ওঠে। হাতি মৃত্যু সম্পর্কে মুখ খোলেনি রেল।
এর আগে হাতি করিডরে ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু হয়েছে। সব দুর্ঘটনাই ঘটেছে রাতে। এবারের দুর্ঘটনা সকালে। রেলের ভূমিকা বড়সড় প্রশ্নের মুখে।
- উত্তরবঙ্গে রয়েছে ৩৯টি হাতি করিডর
- মরাঘাট থেকে সুকনা পর্যন্ত অতি স্পর্শকাতর হাতি করিডর ৬টি
- (এর মধ্যে) বানারহাটে ২টি অতি স্পর্শকাতর হাতি করিডর
হাতি করিডরে ট্রেনের গতি কমানো নিয়ে গতমাসেই মাদারিহাটে বৈঠকে রেল ও বনদফতর দু’পক্ষই একমত হয়। বনদফতরের দাবি, প্রতিদিন সন্ধেয় হাতি পারপার নিয়ে রেলকে সতর্ক করা হয়। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তারপরেও একই ঘটনায় রেলের গাফিলতিকেই দায়ী করছে বনদফতর।