ইলেকশন কমিশনে দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আয় ছিল বার্ষিক ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৯১৭ টাকা। পরবর্তী অর্থ বর্ষ অর্থাৎ ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে তার বার্ষিক আয় এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়ায় ১১ লক্ষ ৯৮ হাজার ১৪৮ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে সেই আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১২ লক্ষ ৪০ হাজার ২৫৫ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বার্ষিক আয় এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়িয়ে ছিল ৫১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫৭৬ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বার্ষিক আয় ছিল ৪০ লক্ষ ২১ হাজার ৯১০ টাকা। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী মণিদীপার ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে বার্ষিক আয় ছিল ১১ লক্ষ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে বার্ষিক আয় ছিল ১২ লক্ষ ১৫ হাজার ৪৯০ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে বার্ষিক আয় ছিল ২৫ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৬০ টাকা। এক্ষেত্রেও তার স্ত্রীর বার্ষিক আয় এক ধাক্কায় দ্বিগুণ হয়েছিল। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বার্ষিক আয় ছিল ১৮ লক্ষ ১১ হাজার ৬৫৫ টাকা। এখন যদি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মোট স্থাবর সম্পত্তির কথা ধরা যায় তাহলে সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায়, ৩ কোটি ৯৩ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকার মালিক। তার স্ত্রী মণিদীপা ২ কোটি ৩০ লক্ষ ৭১ হাজার ৭০৮ টাকার মালিক। মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬ কোটি ২৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা, যার মালিক রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তার স্ত্রী। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিতে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের সেভিংস, সোনা, রুপোর অলংকার, গাড়ি সহ অন্যান্য জিনিস। তবে দুজনের নামে কোনরকম লোন নেই বলেই জানা গিয়েছে। এছাড়াও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর নামে থাকা অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায়ই ৪ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। যে সম্পত্তির হিসেব পাওয়া যায় তা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজেই ইলেকশন কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ২০২১ সালে। সে সময় তিনি হাবড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে এলাকার বিধায়ক গ্রেফতারহতেই যেন নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছেন স্থানীয় শাসকদলের নেতা কর্মীরা। সকলেই প্রায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তবে বিরোধী দল ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছেন পাশাপাশি ইডির তদন্তে আরও নতুন কি তথ্য উঠে আসে সেদিকেই এখন নজর রাখছেন সকলে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও নানা রকম মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে মন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে। অনেকেই জানতে চাইছেন ঠিক কত কোটি টাকার দুর্নীতিতে যুক্ত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়!
advertisement
Rudra Narayan Roy