জানা যায়, বিবাহিত জীবনে একাধিকবার সন্তান এলেও স্ত্রীর গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার কারণে, মহাদেবের কাছে শম্ভু মানত করেন, সুস্থ সন্তানের জন্ম হলে তিনি দণ্ডী কেটে কেদারনাথে যাবেন। অবশেষে সুস্থ পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে পুত্রের বয়স ৩ বছর। তাই এ বার নিজের দেওয়া কথা রাখতেই শুরু করেছেন কষ্টসাধ্য এই কেদারযাত্রা। প্রতিদিন কয়েক কিলোমিটার পথ রোদ, বৃষ্টি, কাদা উপেক্ষা করে এগিয়ে চলেছেন দেবাদিদেবের শরণে। এদিন মছলন্দপুরের নকপুর এলাকায় দেখা যায় তাঁকে। গা হাত পায়ে মাখা কাদা, কোনও দিকে না তাকিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গেই দণ্ডী কেটে একটু একটু করে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন শম্ভু।
advertisement
আরও পড়ুন : আপনার রান্নাঘরে ‘এই’ জিনিসগুলি আছে নাকি? সাবধান! এর টানেই আপনার বাড়িতে কিলবিল করবে বিষাক্ত সাপ!
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, এর আগে বহুবার পায়ে হেঁটে কেদারনাথ যাত্রা দেখতে পাওয়া গেলেও এভাবে বুকে হেঁটে অর্থাৎ দণ্ডী কেটে এমন দীর্ঘযাত্রা একেবারেই বিরল। তাঁকে দেখতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ছেন বহু মানুষ। কেউ দিচ্ছেন দক্ষিণা, কেউ খাওয়ার জন্য ফল, কেউ আবার এসে তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করছেন। শিবভক্ত শম্ভু জানান, রাত্রিবাসের জন্য তিনি বেছে নিচ্ছেন চলার পথে স্থানীয় কোনও ক্লাব অথবা কোনও মন্দিরকে। সারাদিনের পরিশ্রমের পর একটু বিশ্রাম। খাদ্যাভ্যাসেও চলছে কঠোর নিয়ম। এই দীর্ঘ যাত্রাকালীন সময়ে শুধুমাত্র নিরামিষ ও ফলমূল গ্রহণ করছেন শম্ভু কাহার। তবে নিজের লক্ষ্য পূরণে যেন অবিচল এই যুবক। দেবাদিদেব মহাদেবের নাম স্মরণ করেই তাই এখন শম্ভু এগিয়ে চলেছেন কেদারনাথের পথে।